লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) দুর্নীতির বিরুদ্ধে বজ্রকণ্ঠ, মানবতার নির্ভীক অভিভাবক

মোহাম্মদ হোসেন (সুমন): 

দেশ যখন দুর্নীতি, প্রশাসনিক অনিয়ম ও নৈতিক অবক্ষয়ে জর্জরিত, তখন আশার আলো হয়ে সামনে এসে দাঁড়িয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা’ নীতিতে অবিচল থেকে তিনি হয়ে উঠেছেন সততা, মানবিকতা ও সাহসিকতার প্রতীক।

তিনি শুধু একজন প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নন—তিনি একজন প্রতিবাদী কণ্ঠ, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার সংগ্রামী নেতা। দেশের নানান স্তরে যখন দুর্নীতির বিস্তার জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছে, তখন প্রশাসনের ভেতর থেকে তিনি যেভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন, তা দুর্নীতিবাজদের কাঁপন ধরিয়েছে।

নিষ্ঠা, দক্ষতা ও সাহসে প্রশাসনে নতুন দৃষ্টান্ত

প্রশাসনিক দুর্বলতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি সৎ, কর্মঠ ও নির্ভীক কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি বিশেষ টিম গঠন করেন, যারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় দুর্নীতিবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে। এসব অভিযানে যেমন বেরিয়ে এসেছে প্রশাসনের ভেতরে লুকিয়ে থাকা দুর্নীতির চিত্র, তেমনি প্রমাণিত হয়েছে—সাহস ও সদিচ্ছা থাকলে দুর্নীতিকে প্রতিরোধ করা সম্ভব।

বিশ্লেষকদের মতে, “বাংলাদেশে যদি আরও পাঁচজন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর মতো উপদেষ্টা থাকতেন, তবে দুর্নীতিবাজদের জন্য প্রশাসনে কোনো জায়গাই অবশিষ্ট থাকতো না।”

জনগণের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন তিনি

সাধারণ মানুষ যখন প্রশাসনের প্রতি আস্থাহীনতায় ভুগছে, তখন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর (অব.) ভূমিকা জনগণের আস্থা ফিরিয়ে এনেছে। তার অগ্রণী ও অনড় অবস্থান জনগণের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে এক নির্ভরতার প্রতীক হিসেবে।

সুশাসন প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নেতৃত্বের মূর্ত প্রতীক

তার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি আজ দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনিক সংস্কৃতি গঠনের একটি ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। শুধুমাত্র শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নয়—তিনি প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে মানবিকতা, জবাবদিহিতা ও পেশাদারিত্ব প্রতিষ্ঠার প্রয়াসে নিয়োজিত।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে দেশপ্রেমিকদের

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে তার সাহসী অবস্থান প্রমাণ করে, নেতৃত্বে সততা ও দৃঢ়তা থাকলে অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়। দুর্নীতিবিরোধী এই যুদ্ধ শুধু একজন ব্যক্তির নয়—এটি সবার। দেশের প্রতিটি সৎ নাগরিকের উচিত এই সংগ্রামে অংশগ্রহণ করা।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর (অব.) নেতৃত্ব ভবিষ্যতের প্রশাসনের জন্য একটি মানদণ্ড হয়ে থাকবে—যেখানে থাকবে না কোনো আপস, থাকবে না অন্যায়ের সঙ্গে সহনশীলতা। থাকবে শুধু দেশপ্রেম, সততা, ও মানবিক মূল্যবোধ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *