মাদক, সন্ত্রাস ও কিশোর গ্যাংমুক্ত রাঙ্গুনিয়া থানা গড়ে তুলতে রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ওসি শিফাত

কামরুল ইসলাম:

চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শিফাত স্বল্প সময়ের মধ্যে মাদক, সন্ত্রাস ও কিশোর গ্যাং বিরোধী অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে এলাকায় সুনাম অর্জন করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে রাঙ্গুনিয়া থানা এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, যা মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায়ও প্রশংসিত হয়েছে।

জনসাধারণের মতে, ওসি মোঃ শিফাত একজন বিশ্বাসযোগ্য, দায়িত্বশীল ও জনবান্ধব পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে মর্যাদা লাভ করেছেন। এই সাফল্যের পেছনে রয়েছেন চট্টগ্রাম জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মো. সাইফুল ইসলাম সানতু, যাঁর তত্ত্বাবধান, নির্দেশনা ও অনুপ্রেরণাই থানা পুলিশকে সঠিক পথে পরিচালিত করেছে।

নেতৃত্ব যেখানে আলোকবর্তিকা

চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই মো. সাইফুল ইসলাম সানতু জেলার প্রতিটি থানায় পেশাদার, দুর্নীতিমুক্ত ও জনবান্ধব পুলিশি ব্যবস্থার রূপায়ণে কাজ করছেন। তিনি শুধু দপ্তরভিত্তিক সিদ্ধান্তে সীমাবদ্ধ নন, বরং সরাসরি মাঠ পর্যায়ে গিয়ে বাস্তবতা পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।

ওসি মোঃ শিফাত বলেন,

“চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার স্যারের মতো একজন সুদক্ষ, বিচক্ষণ ও প্রাজ্ঞ নেতৃত্বের অধীনে কাজ করতে পারা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের। তিনি শুধু আদেশ দেন না, আমাদের শোনেন, ভুল-ত্রুটি সংশোধনের সুযোগ দেন বলেই আমরা সফল।”

যোগদানের পর উত্তরণের গল্প

২০২৫ সালে ওসি হিসেবে রাঙ্গুনিয়া থানায় যোগ দেওয়ার পর থেকে মো. শিফাত এলাকাভিত্তিক অপরাধ চিহ্নিত করে গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করেন। চুরি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসা, সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও রাজনৈতিক সহিংসতার বিরুদ্ধে তিনি কঠোর পদক্ষেপ নেন।

এই সময়ের মধ্যে তিনি একাধিক হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, সংঘবদ্ধ চোরচক্র ও মাদক সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার মতো দুঃসাহসিক অভিযানে নেতৃত্ব দেন। এলাকাবাসীর আস্থার প্রতীক হয়ে ওঠে রাঙ্গুনিয়া থানা, যেখানে সাধারণ মানুষ নির্ভয়ে অভিযোগ করতে আসেন এবং দ্রুত সেবা পান।

টিমওয়ার্কের মডেল: রাঙ্গুনিয়া থানা

ওসি শিফাত সবসময় তাঁর সহকর্মীদের কৃতিত্ব দেন। তিনি বলেন,

“আমি একা কিছুই না। আমার টিমের প্রতিটি সদস্য—এসআই, এএসআই, কনস্টেবল—যাঁরা নিরলসভাবে কাজ করেছেন, তাঁদের কারণেই রাঙ্গুনিয়া থানা আজকের অবস্থানে।”

তিনি পুলিশ সুপার ও সার্কেল অফিসারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন,

“তাঁদের সহযোগিতা ও আস্থা আমাকে সাহস জুগিয়েছে।”

জনগণের ভালোবাসায় গড়া সাফল্য

ওসি শিফাত বারবার বলেন,

“জনগণ আমাদের সেবক হিসেবে গ্রহণ করেছে বলেই আমরা সফল। অপরাধ দমনে তাদের তথ্যই আমাদের পথ দেখায়।”

রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বাসিন্দারা বলেন,

“ওসি সাহেবকে আমরা পুলিশের লোক না, আপন মানুষ ভাবি। সমস্যা হলে তিনি ফোন ধরেন, ব্যবস্থা নেন, দরজা খোলেন। এখন পুলিশ মানেই ভয় নয়, আশ্বাস।”

সততা ও পেশাদারিত্বের প্রতীক

ওসি মো. শিফাতের সবচেয়ে বড় গুণ হলো তাঁর সততা ও নিরপেক্ষতা। রাজনৈতিক চাপের তোয়াক্কা না করে তিনি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন,

“আমি কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মচারী নই। আমি জনগণের পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা আমার ধর্ম, দায়িত্ব এবং অঙ্গীকার।”

মূল্যায়ন ও সম্মান

ওসি মোঃ শিফাত তাঁর কর্মদক্ষতা, মানবিকতা এবং জনবান্ধব কার্যক্রমের মাধ্যমে রাঙ্গুনিয়া থানাকে জেলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ থানায় রূপান্তর করেছেন।
এই সাফল্য শুধু তাঁর নয়, এটি একটি সুশৃঙ্খল, সম্মিলিত ও জনসম্পৃক্ত পুলিশের জয়গাথা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *