নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজার জেলা শহরে আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ভয়ঙ্কর এক প্রতারক চক্র। শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে থাকা এই চক্রের সদস্যরা নিরীহ সাধারণ মানুষকে নানা কৌশলে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে সর্বস্ব কেড়ে নিচ্ছে। সম্প্রতি এই চক্রের কয়েকজন সদস্যের নাম প্রকাশ পেয়েছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো — বাসটার্মিনাল এলাকার হামিদ, জলিল এবং লিংকরোড মুহুরীপাড়ার তৌহিদুল ইসলাম রুবেল।
গত ৩ আগস্ট ২০২৫ তারিখে কক্সবাজার শহরের ঘুমগাছতলা এলাকায় সিএনজিতে যাত্রী বেশে প্রতারণা করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে তৌহিদুল ইসলাম রুবেল। প্রতারণার সময় জনগণ তাকে ধরে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং রুবেলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
তবে এই একটি ঘটনা বিচ্ছিন্ন নয়। জানা গেছে, এই প্রতারক চক্র দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার শহর এবং আশপাশের উপজেলা— টেকনাফ, উখিয়া, মহেশখালী, চকরিয়া ইত্যাদি এলাকায় একই ধরনের প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এদের অন্যতম কৌশল হলো — “পিতলের পাত দেখা” বা সস্তা ধাতুকে সোনার অলংকার বলে চালিয়ে দেওয়া। সাধারণ মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে তারা সোনা, নগদ টাকা, মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতিনিয়ত।
বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার-থ ১১-৭৫৯৪ নম্বরের সিএনজি গাড়িটি প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই গাড়ির মাধ্যমেই তারা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে যাত্রীদের ফাঁদে ফেলে সর্বস্ব কেড়ে নেয়। তাদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
এর আগে এই চক্রের সদস্যরা একাধিকবার টেকনাফ, উখিয়া, মহেশখালী, চকরিয়া থানার পুলিশের হাতে আটক হলেও, জামিনে বেরিয়ে এসে পুনরায় একই অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। প্রশাসনের নজরদারি এড়িয়ে বারবার জামিনে বের হয়ে এভাবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে চলেছে তারা।
কক্সবাজারবাসীর দাবি, এই চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক এবং তাদের স্থায়ীভাবে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। না হলে এদের প্রতারণার শিকার হয়ে সাধারণ মানুষের জানমাল সবসময়ই ঝুঁকির মধ্যে থাকবে।