টিম ট্রাফিক মিরপুর বিভাগের অভিযানে প্রতারক চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার

বাহাউদ্দীন তালুকদার:

রাজধানীর মিরপুর ট্রাফিক বিভাগের প্রসিকিউশন শাখার ভুয়া সিল ও স্বাক্ষরসহ প্রতারণা করা চক্রের মূলহোতাসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে মিরপুর ট্রাফিক বিভাগের চৌকস টিম।

সোমবার (৪ আগস্ট ২০২৫) বিকেল ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে মিরপুর-১৩ বিআরটি স্টেশনের সামনে অবস্থিত হুমায়ুন রশীদ ও নুরুল ইসলাম সৈকতের দোকানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন—সিলেট জেলার কানাইঘাট থানার নিজচাওড়া উত্তর গ্রামের মো. আলাউদ্দিনের পুত্র হুমায়ুন রশীদ এবং চট্টগ্রাম জেলার কাউখালী থানার চৌধুরীপাড়া গ্রামের মো. করিমের পুত্র নুরুল ইসলাম সৈকত।

মিরপুর ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুর আনুমানিক ২টার দিকে মো. সেলিম ও মো. আসাদ নামে দুই ব্যক্তি ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স নিতে মিরপুর ট্রাফিক বিভাগের প্রসিকিউশন শাখায় আসেন। এ সময় দেখা যায়, তাদের জিডি কপিতে মিরপুর ট্রাফিক বিভাগের ভুয়া সিল ও স্বাক্ষর ব্যবহার করা হয়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, মিরপুর-১৩ বিআরটি সংলগ্ন দোকানে দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের জালিয়াতি ও প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড চলছিল।

ঘটনার বিষয়ে ডিসি ট্রাফিক মিরপুর গৌতম কুমার বিশ্বাসকে অবহিত করা হলে তিনি তাৎক্ষণিক প্রাথমিক তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হন এবং ঘটনা উদঘাটনে একটি বিশেষ টিম গঠন করে অভিযানের নির্দেশ দেন।

অভিযান পরিচালনায় অংশগ্রহণকারী ট্রাফিক বিভাগের চৌকস টিমের সদস্যরা হলেন—পুলিশ সার্জেন্ট মো. নাজমুল হোসেন, শিহাব, জাকারিয়া, পূজা ও সার্জেন্ট পান্না। অভিযানে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন সাইদের নেতৃত্বাধীন একটি টিমও সহযোগিতা করে।

অভিযানকালে চক্রের দুই সদস্যকে হাতে-নাতে গ্রেফতার করে জব্দ করা হয় প্রতারণার বিভিন্ন আলামত।

পরবর্তীতে বিআরটি’র আদালত-০৯ এর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তাসমিয়া জায়গীরদার আসামিদের স্বীকারোক্তি ও জব্দকৃত আলামত যাচাই-বাছাই শেষে প্রতারক চক্রের দুইজনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন। আদেশ অনুযায়ী, আসামিদের কাফরুল থানার এএসআই মেহেদী হাসান কারাগারে হস্তান্তর করেন।

পুলিশ সার্জেন্ট মো. নাজমুল হোসেন জানান, “অনেক দিন ধরেই এই প্রতারক চক্র এমন জালিয়াতির কাজ করে আসছিল—এমন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা নজরদারিতে রাখি এবং অবশেষে গ্রেফতারে সফল হই।”

তিনি আরও বলেন, “ডিসি ট্রাফিক মিরপুর গৌতম কুমার বিশ্বাস স্যারের চৌকস নেতৃত্বেই এই প্রতারক চক্রকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *