কামরুল ইসলাম:
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় পুলিশের একটি বিশেষ অভিযানে ৫০ কেজি গাঁজাসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি ট্রাকও জব্দ করা হয়।
জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু, বিপিএম-বার–এর নির্দেশে এবং সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তফিকুল আলমের তত্ত্বাবধানে অভিযানটি পরিচালিত হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আরিফুর রহমান। অভিযান পরিচালনায় অংশ নেন এসআই (নি.) মো. কামাল হোসেন ও সঙ্গীয় ফোর্স।
জানা গেছে, গত ৬ আগস্ট ২০২৫, রাত ৩টার দিকে আধুনগর ইউনিয়ন অফিস সংলগ্ন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে একটি তল্লাশি চৌকি স্থাপন করা হয়। রাতভর চলা তল্লাশিতে আনুমানিক ২০-২৫টি যানবাহন পরীক্ষা করা হয়।
পরদিন ভোর ৪টা ১০ মিনিটের দিকে কক্সবাজারগামী একটি মালবাহী কার্গো ট্রাক (রেজিঃ ফেনী-ট-১১-০৯৭২), যার রং নীল ও হলুদ, সেটিকে থামানোর সংকেত দেয় পুলিশ। ট্রাকটি থামিয়ে তল্লাশি চালালে চালক মো. নুরনবী নিজেই গাঁজা বহনের বিষয়টি স্বীকার করেন।
পুলিশের উপস্থিতিতে ধৃত দুই আসামি—চালক মো. নুরনবী (৪৬), পিতা-আবু আহম্মদ, মাতা-নুরজাহান (মৃত), সাং-দক্ষিণ অলিনগর, ০৫ নম্বর ওয়ার্ড, করেরহাট ইউনিয়ন, থানা-জোরারগঞ্জ, জেলা-চট্টগ্রাম এবং সহকারী শেখ আলম (৩৫), পিতা-মুরশিদ আলম, মাতা-বিবি ফাতেমা, সাং-উত্তর ভূঁইয়া গ্রাম, ০৬ নম্বর ওয়ার্ড, ইচ্ছাখালী ইউনিয়ন, থানা-জোরারগঞ্জ, জেলা-চট্টগ্রাম—দেখিয়ে দেয় ট্রাকের পিছনে লুকানো গাঁজার অবস্থান।
সেখানে তিনটি প্লাস্টিকের চটের বস্তার মধ্যে সাদা পলিথিন ও খাকি রঙের স্কচটেপে মোড়ানো মোট ২৫টি পোটলা পাওয়া যায়। প্রতিটি পোটলায় ছিল ২ কেজি করে গাঁজা, অর্থাৎ মোট ৫০ কেজি।
পরে রাত ৪টা ৩০ মিনিটের দিকে এসব গাঁজা এবং ট্রাকটি জব্দ তালিকাভুক্ত করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা স্বীকার করেছে যে, তারা বারৈয়ারহাট এলাকা থেকে গাঁজা সংগ্রহ করে অধিক মুনাফার আশায় কক্সবাজারে সরবরাহ করতে যাচ্ছিল। তারা দীর্ঘদিন ধরে ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গাঁজা ও অন্যান্য অবৈধ মাদক দ্রব্যের কেনাবেচা ও সরবরাহের সঙ্গে জড়িত বলেও পুলিশকে জানিয়েছে।
এই ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, মাদকের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান আরও জোরদার করা হবে।