আবদুল আজিজ:
দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলা বুধবার ৬ আগস্ট বিকেলে ঠাকুরদিঘীর পাড় এলাকার মসজিদ মার্কেটের মো. এহসান হাবীব ও ছমদিয়া পুকুর পাড় এলাকার সুকুমার দে নামে দুই পল্লী চিকিৎসক বিধিবহির্ভূতভাবে বিভিন্ন অপারেশন পরিচালনা, অ্যান্টিবায়োটিকসহ জীবন রক্ষাকারী ওষুধের যথেচ্ছ ব্যবহার,
ছদ্মবেশে তারা ছিলেন এলাকার সহজ-সরল মানুষের কাছে নামি-দামী চিকিৎসক। গায়ে সাদা এপ্রোন, টেবিলে স্টেথোস্কোপ আর মুখে মিষ্টি হাসি—জটিল রোগের সহজ সমাধানের প্রতিশ্রুতি।
এই আশায় শত শত রোগী গিয়েছেন তাদের চেম্বারে। নিজেরাই হয়েছেন কোটিপতি। বড় হাসপাতালের মতো চেম্বারের পাশেই রয়েছে অসংখ্য রোগীদের সিট। কিন্তু অল্প শিক্ষায় বড় চিকিৎসক সম্ভব নয়, তারাও জানেন।
এ বিষয়ে এলাকার মানুষের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, সুকুমার দে দীর্ঘদিনের পল্লী চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসলেও তার ফার্মেসিতে বিভিন্ন সময় ওষুধের প্যাকেটে দিন-তারিখ একেবারেই শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তেই দেখা মিলে। সম্ভবত কোনো এক নির্ধারিত ফার্মেসি থেকে কন্টাক্ট করে এ কাজ করেন।
তবে আজ কোনো বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি না থাকা সত্ত্বেও নিজেদের বিভিন্ন জটিল ও কঠিন রোগের বিশেষজ্ঞ বলে প্রচার করার অভিযোগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর আওতায় প্রত্যেককে ৫০,০০০/- টাকা করে মোট ১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেছে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এছাড়াও তাদেরকে অর্থদণ্ডের পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত না হওয়ার শর্তে অঙ্গীকারপত্র নেওয়া হয়। সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব খোন্দকার মাহমুদুল হাসান এ অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডাঃ মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন।
অভিযান চলাকালে সহযোগিতা করেন সাতকানিয়া থানার পুলিশ সদস্যবৃন্দ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা।
জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসন, সাতকানিয়ায় এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।