ঢাবিতে যারা ছাত্রলীগ করত, তারা এখন কোথায়: রাশেদ খান

স্বাধীন সংবাদ ডেস্ক:   

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে চলমান ছাত্র রাজনীতি ও বর্তমান উত্তেজনার প্রসঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান কঠোর ও সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ছাত্রলীগ করত, তারা এখন কোথায়? যারা রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন এবং ছাত্র রাজনীতির কাঠামোগত সংস্কারের দাবি না করে ‘১,২,৩,৪, পু*কি মার…’ জাতীয় অশ্লীল স্লোগান দিচ্ছে, তারা কি আদৌ সাধারণ শিক্ষার্থী?”

শনিবার (৯ আগস্ট) সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব মন্তব্য করেন। রাশেদ খান বলেন, “আমি নিজেও সাধারণ শিক্ষার্থী ছিলাম। তাদের আচরণ আমি ভালই বুঝি। এই ধরনের অশ্লীল স্লোগানগুলো কোনো সাধারণ শিক্ষার্থীর মুখ থেকে বের হয় না। এটি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত উসকানিমূলক কাজ।”

গত শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলে ছাত্রদল নতুন আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করে। এই ঘোষণার পর অনেক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং এতে আরও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একই দিনে ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সদস্য সচিব উমামা ফাতেমা একটি ফেসবুক পোস্টে ওই কমিটি নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ জানিয়ে, রাতের মধ্যে কমিটি স্থগিত না হলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।

রাশেদ খান এ প্রসঙ্গে বলেন, “হলে ছাত্র সংগঠনগুলো কমিটি দিতে পারবেনা, তা বুঝলাম। কিন্তু ডাকসু নির্বাচনে হলে প্যানেল দেওয়ার সুযোগ থাকলে কি হবে? তখন আবার নতুন আন্দোলন শুরু হবে— ‘ছাত্র সংসদ থেকে রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের প্যানেল বাতিল চাই।’ আর যদি তা না হয়, তাহলে ডাকসু আবার সাধারণ শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের মঞ্চে পরিণত হবে।”

তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, “কিন্তু সেই ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’ আসলে কারা? যারা রাজনীতির কাঠামোগত সংস্কারের কথা না বলে, এমন অশ্লীল স্লোগান দিচ্ছে? যারা রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের দাবি করছে না? তাদের কি আদৌ সাধারণ শিক্ষার্থী বলা যায়?”

সাবেক এই ছাত্রনেতা আরও বলেন, “রাজনীতির মধ্যেও একটি মহরাজনীতি থাকে। প্রশ্ন হলো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ছাত্রলীগ করত, তারা এখন কোথায়? ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মী ছিল যারা কোটা বাতিলের দাবিতে সওয়াল করত, কিন্তু তারা ‘হাসিনার পতন আন্দোলন’-এ ছিল না। অথচ আজ তারা ‘কোটা বাতিল আন্দোলনে ছিলাম’ বলে দাবি করে, হলে থেকে ছাত্র রাজনীতি বাতিলের ডাক দেয়।”

রাশেদ খান অভিযোগ করেন, “অনেকেই নিজেদের সাধারণ শিক্ষার্থী বলে পরিচয় দিয়ে আন্দোলনে প্রবেশ করছে, আসলে তারা রাজনীতির সুযোগ পাচ্ছে না, তাই বাকিদের রাজনীতি বন্ধ করতে চায়।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *