নেত্রকোনা প্রতিনিধি:
নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের দেওসহিলা গ্রামের ৫ বছর বয়সী শিশু মোঃ সৌরভ মিয়া গত ১৬ জুন সন্ধ্যায় প্রাইভেট পড়তে ম্যাডামের কাছে যাওয়ার পর মনোহারী দোকানে যায় এবং এরপর আর বাড়ি ফিরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজি শেষে দোকানের পাশে গোহালঘরে তার লাশ পাওয়া যায়। নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, শিশুটিকে নির্মমভাবে হত্যা করে গোহালঘরে ফেলে রাখা হয়েছে।
মদন থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মৃতদেহের সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে। নিহতের বাবা বাদী হয়ে মদন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, যাতে ৭ জনের মধ্যে মোঃ জিয়া ও ৫-৬ জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। এ ঘটনার পর মদন থানা পুলিশ মোঃ লালন মিয়া, মোঃ নুপুর মিয়া ও সুলেমান মিয়াকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। মামলার নং ১১/৬৭।
এ ঘটনায় এলাকাবাসী এবং নিহতের পরিবার গভীর শোক ও উৎকণ্ঠায় রয়েছে। গ্রামবাসী জানিয়েছেন, গোহালঘরের আশপাশে বেশ কয়েকজন লোক ছিলেন, যাদের কাছ থেকে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও জেলা পুলিশ সুপারসহ কর্তৃপক্ষের যথাযথ পদক্ষেপ কামনা করছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও গ্রামবাসী।
স্থানীয় নেতৃবৃন্দ মোঃ নজরুল ইসলাম (বীর মুক্তিযোদ্ধা), আবুল কালাম, মোঃ আবুল হাশেম, মজিবর রহমান, সারোয়ার হাসান মিন্টু, ফরহাদ চৌধুরী, মোঃ মাসুদ মিয়া, রাসেল মিয়া, রফিকুল ইসলাম (মেম্বার), আয়তুর রহমানসহ অনেকে এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
গ্রামজুড়ে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র সমালোচনা ও উত্তেজনা চলছে। এলাকাবাসী আশঙ্কা করছেন এ ধরনের ঘটনায় আরও বড় ধরনের সংঘর্ষের সম্ভাবনা রয়েছে।
[নিহত শিশু সৌরভের ছবি সংযুক্ত]
নোট: নিরাপত্তাজনিত কারণে শিশুটির ছবিটি এখানে প্রকাশ করা হয়নি।