স্বাধীন সংবাদ ডেস্ক:
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কার্যক্রমকে ‘মানুষ তৈরির প্রজেক্ট’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। একই সঙ্গে তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, কেউ যদি এই উদ্যোগকে রাজনৈতিকভাবে সংজ্ঞায়িত করতে চায়, তবে তিনি তা স্বীকার করেন এবং সেটিকেই শিবিরের রাজনীতি হিসেবে গণ্য করেন।
রোববার (১০ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক দীর্ঘ পোস্টে তিনি সংগঠনের মূল দর্শন, নীতি ও কার্যক্রমের ধরন তুলে ধরেন। ওই পোস্টে জাহিদুল ইসলাম বলেন, “ছাত্রশিবিরের সব কার্যক্রমের সর্বোচ্চ ৫-১০ শতাংশ প্রচলিত ধারার রাজনীতির সঙ্গে মিল রয়েছে। বাকি ৯০ শতাংশ কাজই হচ্ছে ব্যক্তি গঠন। আমাদের এই পলিসি একজন শিক্ষার্থীকে শুধু একাডেমিক যোগ্যতা অর্জনেই সহায়তা করে না, বরং হার্ড স্কিল, সফট স্কিল এবং নৈতিক মান অর্জনেও সহায়তা করে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের কনসেপ্ট হলো—ছাত্রশিবির মানে শুধু ভালো ছাত্রই হবে না; বরং পরিবার, আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী, বন্ধু, সমাজ এবং নিজের কমিউনিটিতে একজন ভালো মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করবে।”
জাহিদুল ইসলামের ভাষায়, “আমরা মূলত শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিত্ব গঠনে কাজ করি। নৈতিকতা, দক্ষতা, আত্মনিয়ন্ত্রণ, সামাজিক দায়বদ্ধতা—এসব গুণের সমন্বয় ঘটিয়ে একজন মানুষকে পূর্ণাঙ্গ রূপে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। আর কেউ যদি মানুষ তৈরির এই প্রজেক্টকে রাজনৈতিকভাবে সংজ্ঞায়িত করে, তবে হ্যাঁ—এটাই আমাদের রাজনীতি।”
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির দেশের অন্যতম ছাত্র সংগঠন, যা প্রতিষ্ঠার পর থেকে নিজস্ব দর্শন, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সংগঠন কাঠামোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের গঠনমূলক কাজে সম্পৃক্ত রাখার দাবি করে আসছে। সংগঠনটির সমর্থকদের মতে, এটি কেবল রাজনীতির জন্য নয়, বরং নৈতিক ও শিক্ষাগত উন্নয়নের একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবেও কাজ করে।