মোঃ আনজার শাহ:
গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তার মসজিদ মার্কেটের সামনে গত ৭ আগস্ট রাত ৮টার দিকে নির্মমভাবে নিহত হন দৈনিক প্রতিদিন পত্রিকার সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন (৩৮)। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গলা কেটে তাকে হত্যা করে। শতশত মানুষ নিহতের রক্তাক্ত দেহের সামনে থাকা সত্ত্বেও খুনিরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এই নৃশংস হত্যার প্রতিবাদ ও দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রবিবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার নীতিনির্ধারক পরিষদের সভাপতি মো. জামাল হোসেন এবং সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব মো. আবুল বাসার মজুমদার। প্রধান বক্তা ছিলেন সংস্থার মহাসচিব মো. আলমগীর গনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুহাম্মদ মনজুর হোসেন, আলী আজগর ইমন, লায়ন সিকদার মোহাম্মদ আরিফুল আলম টিটো, এম এ আকাশ, ছাব্বির আহমেদ সেন্টু, মোহাম্মদ নাজমুল হুদা, সরকার জামাল, প্রিয়াঙ্কা ইসলাম, মো. রাসেল সরকার, আ. ছবুর, সানবির হোসেন, রাব্বি মোল্লা, এ কে নান্নু খান, শাহবুদ্দিন গোলদার, আমেনা আক্তার, রাবেয়া আক্তার সুইটি, অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ ওয়াহিদুন্নবী বিপ্লব, রাসেল ইসলাম জীবন, মো. আতিকুল ইসলাম, লিটন মিয়া, মো. রাসেল মিয়া প্রমুখ।
ঢাকার বাইরের নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন আনিছুর রহমান প্রধান, নূরে ইসলাম মিলন, মহসিন উদ্দিন, বাপ্পি আহমেদ শ্রাবণ, মো. শাহআলম স্বপন ও আহমেদ আলীসহ সাংবাদিক সমাজের নানা স্তরের প্রতিনিধিরা।
বক্তারা জানান, “সময়ের সাহসী কলম যোদ্ধার জীবনাবসান ঘটল রক্তস্রোতে ভেসে। দ্রুত বিচার না হলে কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।” তারা খুনিদের পাশাপাশি ইন্ধনদাতাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ জানায়, যৌথ বাহিনীর অভিযানে এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মো. মিজান ওরফে কেটু মিজান, তার স্ত্রী গোলাপি, আল আমিন, মো. স্বাধীন, শাহজালাল, ফয়সাল হাসান, মো. সুমন ও শহিদুল রয়েছেন। তারা আদালতের মাধ্যমে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে এবং স্বীকারোক্তি দিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নয়, পেশাদার অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে।