পটুয়াখালী, বাউফলে সড়ক নয় যেনো মরন ফাঁদ

বরিশাল ব্যুরো: 

পটুয়াখালীর ডিসি সড়কের বেহাল দশা। সড়কের বিভিন্ন স্থানে খোঁড়া ও খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ার কারণে যানবাহনসহ সাধারণ মানুষের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দ্রুত ওই সড়ক সংস্কার না করা হলে চলতি বর্ষা মৌসুমে পটুয়াখালী জেলা শহরের সাথে বাউফল, দশমিনা এবং গলাচিপা উপজেলার যোগাযোগ ভেঙে পড়ার আশংকা রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও পৌর শহরের সাথে পটুয়াখালী জেলা শহরের চলাচলের ডিসি সড়কটি মরন ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এই সড়কের অবস্থা এমন যে কালাইয়া, দাশপাড়া, নওমালা, আদাবাড়িয়ার বিভিন্ন স্থানে শতাধিক গর্তে পরিণত হয়েছে। এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত বাউফল, গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলার হাজার হাজার লোক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে। বড় বড় গর্তে পড়ে অটো, বাস, রিক্সা, টমটম, ভ্যান গর্তের ভিতরে পড়ে প্রতিদিন বড় ধরনের দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। এ যেন দেখার কেউ নেই। রাস্তার পাশের দোকানদাররাও আতঙ্কে দিন পার করছে। যে কোনো সময় ভারি কোনো যানবাহন দোকানের ভিতরে ঢুকে যেতে পারে, তাতে প্রাণহানির মত ঘটনা ঘটতে পারে।

কোনো কোনো স্থানে বর্ষার পানিতে তলিয়ে কাদা-পানি জমা থাকায় সাধারণ মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। প্রতিদিন যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। ভাঙা রাস্তার কারণে পণ্য পরিবহনে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সড়কের এ বেহাল অবস্থায় এলাকায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণ।

এই সড়কে নিয়মিত কয়েকজন যানবাহন চালকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভাঙা এ সড়কের কারণে তাদের গাড়ির ক্ষতি হচ্ছে, আয়-রোজগার কমে গেছে। একাধিক শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রী বলেছেন, সড়কের বেহাল দশার কারণে তাদের স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজে যাতায়াত করতে কষ্ট হচ্ছে। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়ক মেরামতের দাবি জানিয়েছেন।

এ সড়কের বিষয় নওমালা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ সফিকুর রহমান ব্যাটন তালুকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন, “এটা সড়ক নয়, যেনো পুকুর। দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি সংস্কার করা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা হতে পারে।”

এ ব্যাপারে নওমালা আব্দুর রশিদ খান ডিগ্রী কলেজের সহকারি অধ্যাপক মোঃ ইউনুছ মিয়া বলেন, “পটুয়াখালী কালাইয়া সড়কটি এতটা করুণ অবস্থায় যেনো মরন ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সড়কটি খুব অল্প সময়ের মধ্যে সংস্কার করা না হলে প্রাণহানির মত ঘটনা ঘটতে পারে।”

এ ব্যাপারে পটুয়াখালী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী হোসেন আলী মীর বলেন, “অনেক আগেই বেহাল সড়কের তালিকা করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্প পাশ হয়ে আসলেই অল্প সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *