স্টাফ রিপোর্টার:
বিগত ১৭ বছর যাবৎ আওয়ামী দোসররা দেশের আনাচে-কানাচে গড়ে তুলেছিলেন অপরাধের স্বর্গরাজ্য। অন্যায়-অনিয়ম করে কামিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। গোপালগঞ্জ বাড়ি হওয়ার সুবাদে রাজউকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন বড় বড় কাজ। অবৈধভাবে আয় করেছেন কোটি কোটি টাকা।
এমনই এক কর্মকর্তা ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আব্দুল মোমিন। সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর কল্যাণপুর জসিমউদ্দীন রোডে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, মুদা মসজিদের পাশে সাততলা দুটি বাড়ি, আগুলিয়া হোসেন মার্কেটের সামনে এক বিঘা জমি—এগুলোই শুধু নয়, কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক সরকারি কর্মচারী আব্দুল মোমিন।
তদন্তে জানা গেছে, তিনি টাকার দাপটে দুদকের মামলাসহ নানা অভিযোগ এড়িয়ে গেছেন। আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে কোটি কোটি টাকা অর্জনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া রাজউক কল্যাণ ট্রাস্টের নির্বাচনে জয়লাভ করে গ্রামেও গড়ে তুলেছেন সিরাজগঞ্জে কোটি টাকার বাড়ি ও বিপুল সম্পদ। অভিযানে জানা যায়, আত্মীয়-স্বজনদের নামে জমি কিনে বউয়ের নামে হস্তান্তর করেছেন মোমিন। ২৮ হাজার টাকা মাসিক বেতনের এই কর্মকর্তা গত আট বছরে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন।
অভিযোগ রয়েছে, তিনি নানা প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলেছেন, রাজউকের বিভিন্ন প্রকল্পে নিয়ন্ত্রণ বিস্তার করেছেন, এমনকি ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে ফ্ল্যাট ও জমি ক্রয় করেছেন। সূত্র জানায়, রাজউকের একাধিক ফ্ল্যাট ও বাণিজ্যিক প্লটের মালিক তিনি। স্থানীয় সূত্র বলছে, এসব সম্পদের বড় অংশই অর্জিত হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব খাটিয়ে এবং সরকারি পদ ব্যবহার করে। এ বিষয়ে আব্দুল মোমিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।