হানিফ বাহিনীর বিরুদ্ধে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে চাঁদা দাবি ও হত্যার হুমকি

স্টাফ রিপোর্টার:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বড়হরণ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার বাজারে একটি দোকান ভাড়া নিয়ে ছফিয়া বেগমের পুত্র মোঃ রফিকুল ইসলামকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় চিহ্নিত চাঁদাবাজরা দীর্ঘদিন যাবত মাদ্রাসায় অবস্থিত ছফিয়া বেগমের দোকান ভিটিতে চাঁদা দাবি করে আসছে।

ছফিয়া বেগমের পুত্র মোঃ রফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার কারণে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বন্দোবস্তের মাধ্যমে ৩য় তলায় সাতটি অস্থায়ী দোকান ভাড়া নিয়েছিলেন। এসব দোকানগুলো লটারির নং-৭ থেকে ১৩ পর্যন্ত এবং ৪র্থ তলার পুরো ফ্লোর ও ছাদও চুক্তির মাধ্যমে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের নিকট নিজের বন্দোবস্ত নেন।

দীর্ঘদিন যাবত ছফিয়া বেগমের নিকট মোঃ হানিফ মিয়া (৫৫), পিতা- দারু মিয়া; জাকির মিয়া, পিতা- আব্দুল রাজ্জাক; কামরুল ইসলাম, পিতা- মৃত রমজান মিয়া; জাহাঙ্গীর, পিতা- মৃত মান্নাপ বেপারী; শাহিনুর মিয়া, পিতা- দারু মিয়া; মোঃ সেলিম, পিতা- ইউনুস মিয়া; সর্ব সাং- বড় হরণ, ছোট হরণ, থানা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া — ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে।

ছফিয়া বেগম চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় হানিফ-জাকির বাহিনী ছফিয়া বেগমকে বিভিন্ন প্রকার মিথ্যা মামলার ভয় দেখায় এবং গালাগালি করে। গত ৪ আগস্ট হানিফ-জাকির বাহিনী তাদের পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক মাদ্রাসায় প্রবেশ করে ছফিয়া বেগম ও তার পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নগদ ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। ছফিয়া বেগম দিতে অস্বীকার করলে হানিফ-জাকির বাহিনীর সঙ্গে ছফিয়া বেগমের বাক্য বিনিময় হয়।

এ সময় মাদ্রাসার ৩য় তলায় অবস্থিত মূল লোহার গেইট তালাবদ্ধ করে দেয় হানিফ-জাকির বাহিনী। এ ঘটনার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এসে উপস্থিত হলে হানিফ-জাকির বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ সময় তারা ছফিয়া বেগম ও তার পরিবারকে হুমকি দেয় যে, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে যদি চাঁদা না দেওয়া হয়, তাহলে ছফিয়া বেগমকে হত্যা করে লাশ বস্তায় ভরে গুম করে ফেলা হবে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষীগণ এই সব কথা জানিয়ে আদালতে ন্যায় বিচারের জন্য আবেদন করেছেন। ছফিয়া বেগম বিচার প্রার্থনায় আইনগত পদক্ষেপ নিচ্ছেন। এ বিষয়ে ছফিয়া বেগম বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন, যার ধারা হচ্ছে ১৪৩/৩৮৫/৪৪৭/৫০৬(২)/৩৪ দণ্ডবিধি ১৮৬, মামলা নং ১৯৩৯/২৫।

সূত্রে জানা যায়, হানিফ মিয়া ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য। আর এই পরিচয় দিয়ে এলাকায় করছেন রামরাজত্ব। জানা যায়, ছফিয়া বেগম ও তার পরিবার শুরু থেকেই শহীদ জিয়ার আদর্শ লালন করেন, অথচ তাদেরই উপর হামলা করলো অসাধু এই সাবেক বিএনপি নেতা।

এ বিষয়ে ছফিয়া বেগম বলেন, যতদিন বেঁচে থাকি ততদিনই বিএনপি ও শহীদ জিয়ার আদর্শের সাথে থাকবো। তিনি আরও বলেন, হানিফ-জাকির বাহিনীর অন্যায়-অত্যাচার বন্ধ করার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও দেশনেতা তারেক রহমানের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *