স্বাধীন সংবাদ ডেস্ক:
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান নিশ্চিত করেছেন, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময়ে জাতীয় নির্বাচন সম্পূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, “আমি শতভাগ গ্যারান্টি দিয়ে বলছি, প্রধান উপদেষ্টার রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন যথাসময়ে হবে। কোনো ষড়যন্ত্র বা জটিলতাই এটিকে স্থগিত করতে পারবে না।”
বুধবার (১৩ আগস্ট) সকালে ফেসবুকে নিজের আইডিতে দেওয়া পোস্টে রাশেদ খান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “মাঝে অনেকে জটিলতা বা ১/১১ আনার চেষ্টা করতে পারে। বিষয়টা জেদের ভাত কুত্তা দিয়ে খাওয়ানোর মত। আমি যেহেতু ক্ষমতায় যাওয়ার সক্ষমতা অর্জন করতে পারিনি, তাই অন্য কাউকে ক্ষমতায় যেতে না দিয়ে প্রয়োজনে হট্টগোলের মাধ্যমে ১/১১ তৈরি করার চেষ্টা হতে পারে। তবে ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও, ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।”
রাশেদ খান আরও বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা ছাত্রদের দল গঠনের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিয়েছেন। কিন্তু একের পর এক বিতর্ক প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্যান্য উপদেষ্টাদের বিব্রত করেছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ কেউ আর কারও দায়িত্ব নিতে চান না। তাই ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার ও বিচারের একটি গতিপথ তৈরি করে নির্বাচন আয়োজন করা হবে, যাতে সবাইকে শুভ বিদায় দেওয়ার সুযোগ থাকে।”
তিনি বলেন, “এই বয়সে কোনো উপদেষ্টার বেইজ্জতি হওয়ার ইচ্ছে নেই। তাই প্রধান উপদেষ্টা যেভাবে বলেছেন, সেই রোডম্যাপ অনুযায়ী সকল কাজ সম্পন্ন হবে। কোনো পরিবর্তনের সুযোগ তার হাতেই নেই।”
রাশেদ খান নিজের পোস্টে আরও উল্লেখ করেন, “আমি কারো ফাঁদে পড়ে প্রধান উপদেষ্টার ওয়াদা ভঙ্গ করব না। বরং রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত অযথা সময় নষ্ট না করে মাঠে, গ্রামে গিয়ে জনগণের কাছে নিজের দলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে ম্যান্ডেট অর্জন করার চেষ্টা করা। নির্বাচনের পথ আটকে দেয়ার সব চেষ্টা তাদের নিজের শক্তি ও সময়ের ক্ষয় ছাড়া কিছুই হবে না।”
তিনি সতর্ক করে বলেন, “সবচেয়ে উপকৃত হবেন তারা, যারা বাগাড়ম্বর বক্তব্য বা ষড়যন্ত্রের খোয়াব বাদ দিয়ে মানুষের কাছে তৃণমূলে পৌঁছাবেন। জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ, তাদের আশা ও চাহিদা বোঝা, এবং জনমতের ভিত্তিতে কর্মপন্থা গ্রহণই আগামী নির্বাচনে সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।”