বিদেশ পাঠানোর প্রলোভনে সাত লাখ টাকা আত্মসাৎ, ভুক্তভোগীকে হুমকি

স্টাফ রিপোর্টার: 

ভুক্তভোগী রাজিয়া বেগম ও তার ছোট ছেলে মবিন আহমেদ-এর সাত লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তাদেরই আত্মীয় (রাজিয়া বেগমের দূর সম্পর্কের ভাই আবু সাঈদ মিলন)। ঘটনার সূত্রপাত ঘটে চলতি বছরের শুরুতে।

জানা যায়, জাপান প্রবাসী আবু সাঈদ মিলন রাজিয়া বেগমের ভাইয়ের বউ-এর ভাগিনার মামা শশুর। ভুক্তভোগী রাজিয়া বেগম তার ছোট ছেলে মবিন আহমেদকে জাপান পাঠাতে চান। এই সুযোগকে কাজে লাগায় জাপান প্রবাসী আবু সাঈদ মিলন। তিনি ভুক্তভোগীকে প্রলোভন দেখান যে, এক মাসের মধ্যে তিনি মবিন আহমেদকে তার মাধ্যমে জাপান নিয়ে যাবে এবং খুব ভালো একটি জায়গায় চাকরির ব্যবস্থা করে দিবে।

তার সঙ্গে বলা হয়, ভিসা ও যাবতীয় কাজের জন্য মোট ১৪ লাখ টাকা দিতে হবে। ভুক্তভোগী রাজিয়া বেগম বিভিন্নভাবে টাকা যোগাড় করে, ব্যাংকের মাধ্যমে প্রথম ধাপে ১,২৫,০০০ টাকা, দ্বিতীয় ধাপে ৫,৫০,০০০ টাকা এবং বিকাশে ২৫,০০০ টাকা জাপান প্রবাসী আবু সাঈদ মিলনকে তার ভাগিনা আশিক ভুইয়ার একাউন্টে পাঠান। এছাড়াও বলা হয়, বাকি টাকা ভিসা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেওয়া হবে।

তবে প্রায় আট মাস পার হলেও তার ছেলে মবিন আহমেদকে বিদেশ পাঠানো বা টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি। বারবার সময় বাড়ানোর অজুহাত দেখানো হলেও কোনো বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি অভিযুক্ত জাপান প্রবাসী আবু সাঈদ মিলন ও তার ভাগিনা আশিক ভুইয়া।

বর্তমানে হতাশা হারা ভুক্তভোগী রাজিয়া বেগম অভিযুক্তদের কাছ থেকে টাকা ফেরত চাওয়ায় নানান ধরনের হুমকির শিকার হচ্ছেন।

ভুক্তভোগী রাজিয়া বেগমের বড় ছেলে মোস্তফিজুর রহমান দাবি করেন, “আমি আমার মায়ের টাকা এক মাসের মধ্যে চাই। যদি ফেরত না পাই, আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব। এই ঘটনা আমাদের পরিবারকে আর্থিক ও মানসিকভাবে অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ইতিমধ্যেই আমি থানায় অভিযোগ করেছি।”

রাজিয়া বেগম দুঃখের সঙ্গে বলেন, “আমি বিশ্বাস করে মিলন ও আশিকের কাছে টাকা দিয়েছিলাম। টাকা গুলো ধারদেনা করে দিয়েছি, আর তারা এখন আমার সঙ্গে প্রতারণা করছে। যদি টাকা ফেরত না পাই, তাহলে আমার কী হবে আমি নিজেও জানি না।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *