কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে এক গৃহবধূকে নির্মমভাবে হত্যার পর লাশ ফেলে পালিয়েছে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। বুধবার (১৩ আগস্ট) রাতে উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের মধ্যম হাজিরাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরদিন বৃহস্পতিবার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহত গৃহবধূ সুমাইয়া আক্তার (২৫) ওই গ্রামের লোকমানের স্ত্রী। তিন বছর আগে তাদের বিয়ে হয় এবং তাদের দুই বছরের একটি ছেলে রয়েছে। নিহতের বাবা সেলিম মিয়া বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিয়ের পর থেকেই সুমাইয়া শ্বশুরবাড়িতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছিলেন। স্বামী লোকমান, শ্বশুর মনু মিয়া, শাশুড়ি সালেহা বেগম ও ননদ মানসুরা আক্তার প্রায়ই পারিবারিক কলহের জেরে তাকে মারধর করত। বুধবার বিকালে সুমাইয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালানো হয়। খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন লাশ থানায় নিয়ে গেলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
নিহতের বাবা সেলিম মিয়া বলেন, “আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সে আত্মহত্যা করেনি। আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
মা বিলকিস বেগম জানান, জামাইকে বিদেশ পাঠানোর জন্য পুরো টাকা তিনি দিয়েছেন। “মেয়েকে নির্যাতন করত, আর টাকা চাইত। টাকাও দিয়েছি, তবুও মেয়েকে হত্যা করেছে।”
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি হেলাল উদ্দিন বলেন, “লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।”
আপনি চাইলে আমি এই খবরটিকে আরও অনুসন্ধানী ধারায়, স্বামী-শ্বশুরবাড়ির আর্থিক উদ্দেশ্য ও নির্যাতনের প্রমাণসহ বড় করে সাজিয়ে দিতে পারি। এতে পাঠকের মধ্যে আরও প্রভাব ফেলবে।