স্বাধীন সংবাদ ডেস্ক:
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “এক চেতনার বদলে আরেক চেতনার উদ্ভব হয়েছে। কিন্তু যারা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ কেন? তাহলে কি নতুন করে শেখ হাসিনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে?”
শনিবার রাজধানীর প্রেসক্লাবে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিবাদ পতনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, “জুলাই আন্দোলনের সময় আমরা দেখেছি, আবাবিল পাখির মতো বাচ্চারা রাস্তায় নেমে আসে। তখন আমরা মুক্তি পেলাম। গণতন্ত্র মুক্তি পেল। কিন্তু আন্দোলন পরবর্তী সময়ে, যারা নেতৃত্ব দিয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠা সত্যিই দুঃখজনক। এটি আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নৈতিকতা ও উদ্দেশ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।”
তিনি আরও বলেন, “একটি সংগঠনের লোক সব জায়গায় বসে থাকে। আজকের পরিস্থিতি সেই শেখ হাসিনার আত্মারা নতুন করে দেশের ওপর পুনরায় ভর করেছে। জনগণের আশা ও বিশ্বাসকে যদি রাজনৈতিক স্বার্থের খেলা বানানো হয়, তাহলে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের অর্জন ঝুঁকির মুখে পড়ে।”
রিজভীর এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি সরকার ও শাসক দলকে সরাসরি সতর্ক করেছেন। তিনি বলেন, “গণতন্ত্রের প্রতি মানুষের আস্থা রক্ষা করতে হবে। অন্যথায়, দেশের তরুণ ও নতুন প্রজন্মের আশা ও স্বপ্ন নিঃস্ব হতে পারে। আমাদের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল স্বাধীনতা ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা। সেই চেতনা যদি আমরা হারাই, তাহলে আমাদের অর্জন বৃথা হয়ে যাবে।”
আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বিএনপির বিভিন্ন নেতা, কর্মী ও ছাত্র-যুব সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, জনগণের অধিকার এবং শাসক দলের কর্মকাণ্ড নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রিজভীর মন্তব্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আগামী নির্বাচনের পূর্বাভাস হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরনের মন্তব্য সরকার ও শাসক দলের প্রতি জনমতের চাপ তৈরি করতে পারে এবং দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ধারাকে আরও সক্রিয় রাখার সংকেত বহন করে।