কাউসার আহমেদ পনির:
ডেমরার লতিফ বাওয়ানি জুট মিলের পুকুরে সম্প্রতি মাছ শিকারের নামে একটি প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছিল, যা লটারির মাধ্যমে পরিচালিত হওয়ার কথা বলা হয়েছিল। আয়োজকরা প্রতিযোগীদের বড় মাছ শিকারের লোভ দেখিয়ে তাদের অর্থ ও সময়ের ব্যাপক ক্ষতি করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা মাছ ধরার জন্য টিকিট ক্রয় করেন, যার মূল্য ছিল ১৩,০০০ টাকা। এছাড়া মাছের খাবার বাবদ খরচ, রাত জেগে মাছ ধরার জন্য গাড়ি ভাড়া এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ যোগ করলে মোট খরচ দাঁড়ায় প্রায় ১৯ থেকে ২০ হাজার টাকা।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, পুকুরে বড় মাছ শিকারের কোনো সুযোগ পাননি। বরং, প্রতিযোগিতার আগেই পুকুরে কারেন্ট জাল ব্যবহার করে বড় মাছগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। এতে করে তারা সময়, অর্থ এবং শারীরিক পরিশ্রম উভয়ই হারিয়েছেন।
এই ঘটনায় স্থানীয় পরিবেশও প্রভাবিত হয়েছে। মাছ শিকারিরা হতাশ ও ক্রোধিত হয়ে পড়েছেন। এলাকার মানুষদের মতে, এই ধরনের প্রতারণা শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ নয়, স্থানীয় সামাজিক পরিবেশকেও ভারী করে তুলেছে।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, প্রতিযোগিতার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন দুলাল, মোড়ল এবং এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছের সাহেদ ।
তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছেন, মানুষের মধ্যে মাছ শিকারের লোভ দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া এই ধরনের প্রতারণা বন্ধ করা প্রয়োজন। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং যারা এই প্রতারণার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
স্থানীয়রা মনে করছেন, এই ধরনের প্রতিযোগিতা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে এলাকার মানুষের আস্থা নষ্ট হবে এবং স্থানীয় অর্থনীতি ও সামাজিক পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এ বিষয়ে অভিযুক্তরা জানান, তাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তারা দাবি করেছেন, তারা কোনো প্রকার প্রতারণা করেননি।
উল্লেখযোগ্য, এই ঘটনা নিয়ে প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি। তবে ভুক্তভোগীরা আশা করছেন, যথাযথ তদন্ত ও দ্রুত পদক্ষেপের মাধ্যমে এই প্রতারণার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ভবিষ্যতে এর পুনরাবৃত্তি রোধ করা সম্ভব হবে।