মোঃ আনজার শাহ:
আজ (১৭ আগস্ট, ২০২৫) আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের চাকরিচ্যুত ৫৪৭ জন কর্মকর্তা রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। তাদের দাবি, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলাকালীন সময়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের ইন্ধনে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, চাকরিতে পুনর্বহাল এবং হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে তারা এই কর্মসূচি পালন করেন।
গত ২০ জুলাই, কোনো পূর্ব নোটিশ ছাড়াই ই-মেইলের মাধ্যমে ৫৪৭ জন কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে। চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, তাদের চাকরির বয়স তিন থেকে চার বছর এবং এই সময়ের মধ্যে তারা দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। স্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার পরও কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই তাদের ছাঁটাই করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া একাধিক কর্মকর্তা জানান, চাকরিচ্যুতির পর থেকেই তারা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছেন। তবে গত ৭ আগস্ট, ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে তাদের অবস্থান কর্মসূচিতে হামলা চালানো হয়, যাতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধানের নির্দেশে এই হামলা হয়েছে। এরপরই আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়।
সাবেক কর্মকর্তারা বলেন, “আমরা দিনের পর দিন শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের ন্যায্য অধিকারের জন্য আন্দোলন করছি। কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আলোচনার টেবিলে না বসে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আমাদের অনেকের চাকরির বয়স শেষ হয়ে গেছে, এই পরিস্থিতিতে চাকরি হারালে আমাদের পরিবার কোথায় যাবে?” তারা হুঁশিয়ারি দেন, তাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
তবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের দাবি ভিন্ন। তারা জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় মোট ১,৪১৪ জন কর্মকর্তার দক্ষতা মূল্যায়নের জন্য একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। এতে ৫৪৭ জন কর্মকর্তা অকৃতকার্য হওয়ায় তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনার বিষয়ে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।