দেশের জলাশয় রক্ষা ও আমিষের চাহিদা পূরণে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: উপদেষ্টা ফরিদা

স্বাধীন সংবাদ ডেস্ক:


মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, দেশের প্রতিটি জলাশয় সংরক্ষণ ও রক্ষার মাধ্যমে আমিষের চাহিদা পূরণে সরকার অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের প্রাণিজ আমিষের প্রধান উৎস মাছ, তাই এই সম্পদ রক্ষা করা কেবল সরকারের দায়িত্ব নয়, বরং মৎস্যজীবী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের সম্মিলিত দায়িত্ব।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত বর্ণাঢ্য র‌্যালির উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মাছের বৈচিত্র্য রক্ষায় গুরুত্বারোপ

ফরিদা আখতার এ বছর জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের মূল প্রতিপাদ্য—“অভয় আশ্রম গড়ে তুলি, দেশি মাছে দেশ ভরি”—উল্লেখ করে বলেন, দেশি প্রজাতির মাছ রক্ষা ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য অভয়াশ্রম গড়ে তুলতে মৎস্যজীবীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। তিনি মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে বলেন,

“আপনারা কষ্ট করে দেশের মানুষের জন্য খাদ্য সরবরাহ করছেন। এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে সরকার নীতিগত ও প্রশাসনিকভাবে সবসময় আপনাদের পাশে থাকবে।”

র‌্যালি ও মেলা উদ্বোধন

বর্ণাঢ্য র‌্যালি শেষে ফরিদা আখতার বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত জাতীয় মৎস্য মেলার উদ্বোধন করেন ও বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি মুক্তা ও ঝিনুককে জাতীয় সম্পদ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এই মেলা দেশের মানুষকে মৎস্য ও সামুদ্রিক সম্পদ সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দেবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগের পরিচালক আলফাজ উদ্দীন শেখের মৃত্যুতে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

২৫টি স্টল নিয়ে মেলা

জাতীয় মৎস্য মেলায় মৎস্য খাতের উন্নয়নে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণ ও প্রযুক্তি প্রদর্শন করছে ২২টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে মৎস্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি), বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই)সহ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মোট ২৫টি স্টলে দেশীয় ও সামুদ্রিক সম্পদের সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়েছে।

উপস্থিতি

র‌্যালি ও মেলা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. তোফাজ্জেল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব মো. ইমাম উদ্দীন কবীর, অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, মৎস্যজীবী ও সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *