টেকনাফ প্রতিনিধি:
সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে চিকিৎসক দেখানোর পাশাপাশি মুদির দোকানের মালামাল ক্রয় করতে এসে মো. হাসিম (২৮) নামে এক যুবক অপহরণের শিকার হয়েছেন। মুক্তিপণ হিসেবে ১০ লাখ টাকা দাবি করা হচ্ছে।
অপহৃত যুবক সেন্টমার্টিন কোনাপাড়ার বাসিন্দা নুর হোসেনের ছেলে এবং তিনি মুদির দোকানদার। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ছেলে অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অপহৃত মো. হাসিমের বাবা নুর হোসেন।
অপহৃত যুবক হাসিমের বাবা নুর হোসেন বলেন, গত ১০ আগস্ট রবিবার সকালে সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। টেকনাফে পৌঁছে কথাবার্তা হয় এবং তার অসুস্থতার কারণে চিকিৎসক দেখাবে এবং দোকানের জন্য মালামাল ক্রয় করবেন। পরে ১৬ আগস্ট শনিবার কাজ শেষ করে দোকানের জন্য মালামাল ক্রয় করে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওনা করার জন্য টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়া নৌঘাটের সার্ভিস ট্রলারের অফিসে গিয়েছিল।
এরপর থেকে ছেলের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
নুর হোসেন বলেন, গত ১৬ আগস্ট শনিবার অপহৃত যুবক হাসিমের বাবার ইমো নম্বরে অপরিচিত এক ব্যক্তি ফোন করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। দাবি করা মুক্তিপণের টাকা না পেলে ছেলের লাশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হুমকি দেওয়া হয়।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপের একজন যুবক টেকনাফ থেকে অপহরণের শিকার হয়েছেন বলে তিনি শুনেছেন। দুর্বৃত্তরা মুক্তিপণ হিসেবে ১০ লাখ টাকা দাবি করছে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, গত রবিবার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ করা হয়েছে। যুবককে উদ্ধার করার জন্য থানা পুলিশ কাজ করছে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের তথ্যমতে, এ নিয়ে গত সাড়ে ১৮ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৫৬ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে।