স্টাফ রিপোর্টার:
ধানমন্ডি সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের পিয়ন ঝর্ণা আক্তার গত ৭-৮ বছরে অস্বাভাবিকভাবে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। একজন সাধারণ সরকারি কর্মচারীর এমন বিপুল সম্পদের বৃদ্ধি স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঝর্ণা আক্তারের মালিকানায় বর্তমানে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ৬ থেকে ৭টি বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে। তিনি নিজে একটি অত্যন্ত আধুনিক সুবিধাযুক্ত বাড়িতে বসবাস করছেন, যা একজন সরকারি পিয়নের নিয়মিত আয়ের সঙ্গে কোনোভাবেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শুধুমাত্র একজন পিয়নের দখলে এমন সম্পদ থাকা একদিকে যেমন ব্যক্তিগত দুর্নীতির পরিচয় দেয়, অন্যদিকে এটি সরকারি দপ্তরের শৃঙ্খলা এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের চরম উদাহরণ।
একজন পিয়ন মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন—এখন প্রশ্ন উঠছে, বড় কর্মকর্তাদের দুর্নীতির মাত্রা কতটুকু হতে পারে? এই ঘটনাটি শুধু একটি ব্যক্তির দুর্নীতিরই চিত্র নয়, বরং পুরো ব্যবস্থার ভেতরের ত্রুটি এবং নিয়ন্ত্রণহীনতা প্রকাশ করছে।
সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, এই সম্পদের উৎস কোথা থেকে? কে বা কারা এই পিয়নের পেছনে রয়েছেন? এগুলো নিয়মিত এবং স্বচ্ছ তদন্তের দাবি তোলে।
সংবাদ অনুসারে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত অবিলম্বে তদন্ত শুরু করা, দোষীদের আইনের আওতায় আনা এবং সরকারি দপ্তরের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পদের হিসাব নিয়মিত যাচাই করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলেছেন, এমন ঘটনা শুধুমাত্র শাস্তিমূলক পদক্ষেপের মাধ্যমে মিটবে না, বরং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে প্রশাসনিক সংস্কার আনা অত্যন্ত জরুরি।
প্রশাসন, দায়িত্বশীল নাগরিক সমাজ ও মিডিয়ার সহযোগিতায় দুর্নীতিবাজদের মুখোশ উন্মোচন এবং সরকারি ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেওয়া প্রত্যেকের প্রত্যাশা।