মোঃ ইসলাম উদ্দিন তালুকদার :
১৯৯৩ সালের একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট, যার ফলে বাংলাদেশে তৈরি সব জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দাম এখন থেকে সরকারই নির্ধারণ করবে।
পূর্বে সরকার ৭৩৯ ধরনের জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দাম নির্ধারণ করলেও, ১৯৯৩ সালের এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সে সংখ্যা কমিয়ে ১৭৭-তে নামিয়ে আনা হয়। ফলে, বেশিরভাগ জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা চলে যায় বেসরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে।
তবে এই বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ নামক একটি মানবাধিকার সংস্থা ২০১৮ সালে হাইকোর্টে রিট করে।
রিটের শুনানি শেষে ২০২৫ সালের ২৫ আগস্ট বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ বিজ্ঞপ্তিটিকে অবৈধ ঘোষণা করেন এবং রায় দেন যে, বাংলাদেশে উৎপাদিত সব জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দাম নির্ধারণ করবে সরকার।
রিটকারীর পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, বেসরকারি মালিকদের হাতে দাম নির্ধারণের ক্ষমতা থাকায় সাধারণ মানুষকে ওষুধ কিনতে হয় অতিরিক্ত মূল্যে। হাইকোর্টের এই রায়ের ফলে জনস্বার্থ সুরক্ষিত হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এছাড়া, সরকার ইতোমধ্যে নতুনভাবে জীবনরক্ষাকারী ওষুধের তালিকা তৈরির জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন, এই তালিকায় যেসব ওষুধ থাকবে, সেগুলোর দাম সরকারকেই নির্ধারণ করতে হবে।