রাজধানীতে আওয়ামী লীগের দোসর রিপন মোল্লা ডেট ফেইল গাড়ি দিয়ে দেদার ছালাচ্ছে ঠিকানা পরিবহন। রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

স্টাফ রিপোর্টার:

রাজধানীতে চলাচল করছে ঠিকানা পরিবহন। ঠিকানা পরিবহনের ব্যানারে কমপক্ষে ৩০০ বাস রয়েছে। এই বাসগুলো সাইনবোর্ড থেকে চন্দ্রা রোডে চলাচল করছে। ঠিকানা পরিবহনের বেশিরভাগ বাসই মেয়াদ উত্তির্ন। শুধু মাত্র সার্জেন্ট, টিআই এবং এসিদের মাসোহারা দিয়ে চলছে এই পরিবহন।

জানা যায়, আওয়ামী লীগের দোসর রিপন মোল্লার বাড়ি গোপালগঞ্জ হওয়ার কারণে দীর্ঘ আট বছর যাবৎ ঠিকানা পরিবহন ও ইতিহাস পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদে থেকে জিপির নাম দিয়ে প্রতিটি বাস থেকে ১২০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা চাঁদা তুলে। এই টাকা নাকি সার্জেন্ট, টিআই ও ট্রাফিকের এসিদের দেওয়া হয়। মাসোহারা দেওয়ার কারণে রোডে চলাচলরত ঠিকানা পরিবহনের কোনো বাস সার্জেন্ট বা টিআইরা আটক কিংবা লাইসেন্স চেক দেন না।

এ বিষয় কাচপুর হাইওয়ে পুলিশের টিআই জুলহাস উদ্দিনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমাদের লোকবল কম, যার কারণে এসব বাসের কাগজপত্র চেক করা সম্ভব হয় না। আপনারা প্রতিটি বাস থেকে মোটা অংকের মাসোহারা নেন, যার কারণে আমরা ঠিকানা পরিবহনের কোনো গাড়ির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই বা মামলা দিতে পারি না।”

এই কথার জবাবে জুলহাস উদ্দিন বলেন, “এটা সঠিক নয়। আমরা বেশিরভাগ সময় চিটাগাং রোডে উল্টো পথে আসা ইজি বাইক নিয়ে ব্যস্ত থাকি। তাছাড়া বেশিরভাগ সময় ভিআইপি পারাপারে সময় দিতে হয়, যার কারণে সব বিষয় নজর দেওয়া সম্ভব হয় না। আসলে ঠিকানা পরিবহনের কাছ থেকে মোটা অংকের মাসোহারা নেওয়ার কারণে এসব বাসের কোনো কাগজপত্র যাচাই-বাছাই বা মামলা দেওয়া হয় না সার্জেন্ট এবং আমরা। যার কারণে বছরের পর বছর ধরে ঠিকানা পরিবহনের কাগজপত্র বিআরটিএতে রিনিউ করা হয় না।”

এ বিষয়ে ঠিকানা পরিবহনের একাধিক মালিক বলেন, “কাগজপত্র সব ঠিকঠাক থাকলেও ট্রাফিক পুলিশকে টাকা দিতে হয়, কারণ পুলিশের ঝামেলার শেষ নেই। এই দোষ তো ওই দোষ। আমরা ব্যানারে গাড়ি চালাই। ট্রাফিক পুলিশের পরামর্শ অনুযায়ী কাগজপত্র ঠিক করি না। ঠিকানা পরিবহনের প্রত্যেকটি গাড়ির যাচাই-বাছাই করলে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব পাবে।”

এই বিষয়ে আমাদের প্রতিনিধিরা কাজ করছে; বিস্তারিত আসছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *