মোঃআনজার শাহ
জীবনের দীর্ঘ পথে আমরা কতবার পরিশ্রম করেছি, কিন্তু কতটুকু তা বাস্তবিক লক্ষ্য পূরণের জন্যই হয়েছে—এ প্রশ্ন আমাদের অনেকেরই মাথায় ঘোরে। গোলাম কিবরিয়া স্যারের এক ক্লাসে অংশ নিয়ে সম্প্রতি এই উপলব্ধি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে এক শিক্ষার্থীর জন্য।
তিনি বলেন,
“আমরা অনেক কাজ করেছি যা কেবল আমাদের সময় ও পরিশ্রমকে অপচয় করেছে। জীবনের লক্ষ্য স্থির না করতে পারার মূল কারণ হলো জ্ঞান ও প্রজ্ঞার অভাব। সামান্য জ্ঞান থাকলেও লক্ষ্য ঠিক করার জন্য প্রয়োজন যথেষ্ট প্রজ্ঞা, যা অভিজ্ঞতা থেকে অর্জিত জ্ঞান ও অনুধাবনের সংমিশ্রণে তৈরি হয়।”
শিক্ষার্থী আরও যোগ করেন,
“মানুষ তখনই কিছু কেনার সিদ্ধান্ত নেয় যখন তার প্রকৃত প্রয়োজন থাকে, আকাঙ্ক্ষা থাকে এবং সেই জিনিসের জন্য যথেষ্ট মূল্য দিতে পারে। একজন সেলস পারসনের জন্য কাস্টমারকে মূল্যায়ন করা, তার প্রয়োজন ও আকাঙ্ক্ষা বোঝা একান্ত জরুরি।”
ক্লাসে তিনি আরও শিখেছেন,
শিক্ষার্থী-শিক্ষকের সম্পর্ক আসলে দুইপক্ষীয়। শিক্ষক শেখান, কিন্তু শিক্ষার্থীরাই শিক্ষককে ক্লাস নিতে অনুপ্রাণিত করে।
ইমোশনাল কন্ট্রোল ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার কৌশল শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
তিনি অনুভব করেছেন, “আমার জীবনের লক্ষ্য এতদিন অত্যন্ত ঘোলাটে ছিল। কিন্তু এই ক্লাস করার পর আমি লক্ষ্য স্থির করার গুরুত্ব বুঝতে পেরেছি এবং এখন আমার জীবনের উদ্দেশ্যে স্পষ্ট ফোকাস রয়েছে।”
শেষে তিনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন,
“আল্লাহ গোলাম কিবরিয়া স্যার ও তার পরিবারকে দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ দান করুন। ইসলামের জন্য নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করার তৌফিক দিন।”
এই গল্প শুধু এক শিক্ষার্থীর নয়—এটি জীবনকে লক্ষ্যভিত্তিক করার অনুপ্রেরণা, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের জন্য।