জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা

মোঃআনজার শাহ

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল।
আজ(২৭ আগস্ট২০২৫) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, নজরুল ছিলেন দ্রোহ ও প্রেমের কবি। তার কবিতা ও গান মানুষকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে শিখিয়েছে।

আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, যিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, নজরুলের সাহিত্যকর্ম আজও আমাদের প্রেরণার উৎস। তার অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং সাম্যের বাণী আমাদের সমাজের জন্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বাবুল আহমেদ (লাটাকার) এবং বাংলাদেশ জমিয়াতুল সাংস্কৃতিক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি কবি মাহমুদুল হাসান নিজামী।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সংবাদপত্র এডিটর অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল মজুমদার, কণ্ঠশিল্পী ও জাসাসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির খান, লেখক-সাংবাদিক ও প্রজন্ম একাডেমির সভাপতি কালাম ফয়েজী, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব হাশেম চৌধুরী, এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মজনুর রহমান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারী এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহীন।

বক্তারা বলেন, নজরুল শুধু কবি ছিলেন না, তিনি ছিলেন একাধারে সঙ্গীতজ্ঞ, সাংবাদিক, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার এবং রাজনৈতিক আন্দোলনকারী। তার সাহিত্য ও জীবন আমাদের জন্য এক বিশাল অনুপ্রেরণা। অনুষ্ঠানের শেষে কবির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *