প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

মিরাজুল ইসলাম

মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা(পিএসও) এবং মহাপরিচালক এর সংযুক্ত কর্মকর্তা মো: ফারুক হোসেন-এর বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অনিয়মের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, পিএসও মো: ফারুক হোসেন কিছুদিন আগে অনিয়মিত শ্রমিক নিয়োগদানের সময় তার নিজ ইউনিয়নের ইছবপুরের ৯ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন। আউট সোর্সিং নিয়োগেও সে টাকার বিনিময়ে লোক নিয়োগ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।সে ফ্যাসিস্ট সরকার সমর্থনকারী বর্তমান ডিজির সহযোগিতার অনিয়মিত শ্রমিক ও আউটসোর্সিং কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নষ্ট করছেন।
এছাড়া টেন্ডার প্রক্রিয়ায় আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। নির্দিষ্ট কিছু অফিসে অযৌক্তিক বাজেট বরাদ্দ দিয়ে সরকারি অর্থের অপচয় ঘটানো হচ্ছে বলেও জানা গেছে।(বরিশাল পটুয়াখালী পাবনা কিশোরগঞ্জ কুষ্টিয়া ফরিদপুর আঞ্চলিক গবেষনাগার) (জামালপুর,পাবনা আঞ্চলিক কার্যালয় )
অভিযোগকারীরা জানান, মো: ফারুক হোসেন সৎ ও দায়িত্বশীল অফিসারদের বিনা কারণে বদলীসহ হয়রানি করে যাচ্ছেন।
পদ শুন্য থাকা এবং পদোন্নতির যোগ্য কর্মকর্তা থাকার পরও সিএসও পদের পদোন্নতি আটকে রেখেছে,পদোন্নতির প্রস্তাব মন্ত্রনালয়ে প্রেরণে গাফিলতি ও বিলম্ব করছেন। এছাড়াও অনুসন্ধানে জানা যায় ৪০তম বিসিএস (কৃষি ক্যাডার) অফিসারদের সকল যোগ্যতা অর্জন করা সত্ত্বেও স্থায়ীকরণ প্রক্রিয়ায় অযথা জটিলতা সৃষ্টি করে তাদের পেশাগত জীবনে অনিশ্চয়তা তৈরি করছেন।এই কর্মকর্তার দাপটে সকল অন্যায্য কার্যক্রম বাস্তবায়নে বর্তমান পুতুল ডিজি নিরব সমর্থন করে যাচ্ছেন। এতে প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কার্যক্রমে স্থবিরতা এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে বিশৃংখলা সৃষ্টি হয়েছে।
নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের জৈষ্ঠ্যতা তালিকা আটকে রেখেছেএই সংযুক্ত কর্মকর্তা যাতে আগামী অক্টোবর মাসে তারা পদোন্নতি না পেতে পারেন।
গোপন সুত্রে জানা যায়, প্রাক্তন ডিজি মো. জালাল উদ্দিনকে সরিয়ে বর্তমান ফ্যাসিস্ট সমর্থনকারী ডিজিকে বসাতে রাজনৈতিক প্রভাব ও অর্থের লেনদেন করেছে কথিত বিএনপি দাবী এই মোঃ ফারুক হোসেন অভিযোগকারীরা দাবি করেন।
এছাড়াও অভিযোগ আছে, মন্ত্রণালয় কর্তৃক একজন কর্মকর্তার সিলেট থেকে নরসিংদী বদলী আদেশ হলেও পৃষ্ঠাংকন বা যোগদান করতে অহেতুক বাধা প্রধান করেন।
সে বিভিন্ন সময় এলাকায় ডিসি, সচিব ও ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে এলাকাবাসীকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করেন। সে এলাকার খাসজমি বিভিন্নভাবে জবরদখল করে রেখেছেন।সকল এলাকাবাসী মিলে তার বিরুদ্ধে কৃষি মন্ত্রনালয়ে সচিব বরাবর অভিযোগ দাখিল করেছেন।
সে একজন ক্যাডার কর্মকর্তা হয়েও মানব পাচার সহ একাধিক মামলার আসামি ।
পিএইচডি ডিগ্রী না করেও সে নিজেকে ডক্টর দাবী করেন, যা বিভিন্ন ব্যানার বা উপস্থাপনার সময় তার পদবিতে উল্লেখ করেন। যদিও তার প্রধান কার্যালয়ে বা মন্ত্রনালয়ে এ বিষয়ে কোন তথ্য নেই
এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে বিরুপ মন্তব্যের কারণে মন্ত্রণালয় কর্তৃক ৩
বছরের জন্য দন্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন।
প্রতিষ্ঠানের কর্মপরিবেশ উন্নত এবং কার্যক্রমকে গতিশীল করা সহ কৃষির উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে দুর্নীতিবিরোধী মহল দ্রুত এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *