স্টাফ রিপোর্টার:
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর হিসেবে অভিযুক্ত কায়িউম দেওয়ান গ্যাংয়ের বাড়িতে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের প্রতিবাদে এবং এর ষড়যন্ত্রের মূল কারিগর, থানার ওসি মো. আনোয়ার আলম আজাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকা। আজ বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড প্রেস সোসাইটির উদ্যোগে আয়োজিত এক প্রতিবাদ ও মানববন্ধনে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এই দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “রক্ষক যখন ভক্ষকের পাহারাদার হয়, তখন সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা থাকে না” — “ওসি মো. আনোয়ার আলম আজাদ, আপনি কায়িউম দেওয়ানের পাহারাদার নন, জনগণের রক্ষক হোন” এবং “অপরাধীর বাড়িতে ক্যাম্প মানি না” ইত্যাদি স্লোগান প্রদর্শন করেন। বক্তারা আরও বলেন, এই সিদ্ধান্ত জুলাই বিপ্লবের সাথে একটি সরাসরি বেঈমানি এবং জনগণের নিরাপত্তা নিয়ে ছিনিমিনি খেলার শামিল।
প্রতিবাদ সভায় জানানো হয়, এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে এলাকাবাসীর গণস্বাক্ষরসহ একটি লিখিত অভিযোগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান আসেনি। বক্তারা অবিলম্বে এই বিতর্কিত ক্যাম্প একটি নিরপেক্ষ ও সর্বজনীন স্থানে স্থানান্তর এবং এর মূল কারিগর ওসি আনোয়ার আলম আজাদসহ কায়িউম দেওয়ান, হালিম দেওয়ান, মাইনুদ্দিন দেওয়ান ও কুদ্দুস দেওয়ান গংদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান।
প্রতিবাদ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. কাজী মো. মনিরুজ্জামান, বাংলাদেশ প্রেস সোসাইটির চেয়ারম্যান এস এম আনোয়ার হোসেন আকাশ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মো. হাসান আলী, ড. আবদুল্লাহেল শরীফ সাকী ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বাদশা-বাসানি, রাজনৈতিক আন্দোলন নেতা মোহাম্মদ আনারুল ইসলাম ইমন, জুলাই যোদ্ধা এবং সাংবাদিক নজরুল ইসলাম সাচী। বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, জনগণের দাবি মেনে নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।