বাহাত্তরের সংবিধান বাংলার মাটিতে চলতে দেওয়া হবে না: মামুনুল হক

স্বাধীন সংবাদ ডেস্ক:

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, শাপলা চত্বরের শহীদদের স্বীকৃতি এবং জুলাই সনদের বাস্তবায়ন ছাড়া এই দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, বাহাত্তরের সংবিধান বাংলার মাটিতে চলতে দেওয়া হবে না।

শুক্রবার রাতে ঢাকার ধুপাখোলা মাঠে বাংলাদেশ জাতীয় সিরাত কমিটি আয়োজিত সিরাতুন্নবী মহাসম্মেলনে এই মন্তব্য করেন মাওলানা মামুনুল হক। অনুষ্ঠানে তার পাশের চেয়ারে ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।

মুক্তিযুদ্ধ এবং নির্বাচন প্রসঙ্গে মামুনুল হক বলেন, “নির্বাচনফির্বাচন অনেক পরের কাহিনি। ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের শহীদদের রক্তকে প্রথম স্বীকার করতে হবে বাংলার মাটিকে। চব্বিশের সহস্রাধিক জুলাই যোদ্ধারা যে জন্য রক্ত দিয়েছেন, সেই আধিপত্যবাদের উৎখাত নিশ্চিত করতে হবে। জুলাই সনদ বাংলার মাটিতে কার্যকর করতে হবে। বাহাত্তরের সংবিধান বাংলার মাটিতে চলবে না এবং চলতে দেওয়া হবে না।”

তিনি আরও বলেন, বাহাত্তর ও চব্বিশের সংঘাতে আপস করার সুযোগ নেই। “চব্বিশের রক্তের সঙ্গে গাদ্দারি করে যারা আবার বাহাত্তরের বাকশালী ব্যবস্থার দিকে ফিরতে চান, আপনারা যদি শহীদ জিয়াউর রহমানের নাম মুখে উচ্চারণ করেন, তাহলে আপনাদের আবারও ওজু করা দরকার। আমরা জীবন দেবো, রক্ত দেবো, রক্তের সাগর বইবে, কিন্তু চব্বিশের বিপ্লব ব্যর্থ হতে দেবো না ইনশাআল্লাহ। বাংলাদেশে আর সেইসব স্বৈরাচারীদের ভাস্কর্য স্থাপন হতে দেওয়া হবে না।”

মাওলানা মামুনুল হক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “জুলাই যোদ্ধাদের নামে বা আমাদের মহান শহীদদের জন্য রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় ভাস্কর্য স্থাপন করার বিপজ্জনক খেলা কেউ খেলবেন না। যদি আমাদের প্রাণপ্রিয় শহীদ আবু সাঈদ বা মুগ্ধদের ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়, আমাদের আচরণ হবে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যের সঙ্গে যা হয়েছিল। আর কেউ যদি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নামে কোনো রাষ্ট্রীয় ভাস্কর্য বসাতে চান, আমরা তা জীবন দিয়ে প্রতিহত করব, ভেঙে গুঁড়িয়ে দেব। আদর্শের জায়গায় আমাদের কোনো কম্প্রোমাইজ থাকবে না।”

মাওলানা মামুনুল হক বলেন, বাহাত্তরের চেতনাকেই প্রতিনিধিত্ব করে বাহাত্তরের সংবিধান। “এই সংবিধানের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধকে হত্যা করা হয়েছে। এই সংবিধানের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ভারতের চরণতলে বলি দেওয়া হয়েছে। আগামীর বাংলাদেশ বাহাত্তরের চেতনার মাধ্যমে একাত্তরের চেতনাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করবে। বাহাত্তরের ভারতীয় আধিপত্যবাদের চেতনা বাংলাদেশে আর চলতে দেওয়া যাবে না।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *