দোহাজারীতে ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজি, হাইওয়ে আইন অমান্য

কামরুল ইসলাম:

দোহাজারী ষ্টেশন এলাকা থেকে হাইওয়ে সড়কের ওপর চাঁদাবাজি ও যানজটের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, দোহাজারী ট্রাফিক পুলিশ সিএনজি, অটোরিকশা ও হুন্ডাসহ বিভিন্ন যানবাহন থেকে নিয়মিতভাবে টাকা আদায় করছেন।

স্থানীয়রা জানান, কয়েক বছর আগে হাইকোর্টের নির্দেশে কোনো দুই বা তিন চাকার যানবাহন হাইওয়ে সড়কে চলাচল করতে পারবে না। কিন্তু দোহাজারী এলাকায় সেই আইন অমান্য করে অটোরিকশা ও সিএনজি চলাচল করছে। সড়কে আইন অমান্যের পাশাপাশি ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজি জনজীবন বিপর্যস্ত করছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ট্রাফিক সদস্যরা দিনের দুই ভাগে ভাগ হয়ে চাঁদাবাজি চালাচ্ছেন—সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা এবং দুপুর ২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। এছাড়া চন্দনাইশ রাস্তার বিভিন্ন স্পটে ট্রাফিক পুলিশের জন্য ‘দালাল গ্রুপ’ নিয়োজিত থাকছে।

একাধিক গাড়িচালক জানান, ট্রাফিক পুলিশের সিগন্যালে বাধ্য হয়ে টাকা দিতে হয়। টাকা না দিলে নানা ধরনের মামলা করা হয়। কিছু দিন আগে কলেজ গেইট এলাকায় একজন চালক জানান, চলন্ত গাড়ি থামাতে সময় লাগার কারণে তাকে মারধর করা হয় এবং মামলা দেওয়া হয়।

স্থানীয়দের মতে, দোহাজারী থেকে চন্দনাইশ কলেজ গেইট পর্যন্ত প্রতিদিন যানজট তৈরি হচ্ছে। এছাড়া গাড়ি ব্রেকার দিয়ে কনস্টেবলদের হস্তক্ষেপে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে এবং প্রতিটি গাড়ি থেকে প্রাপ্ত টাকা কর্মকর্তাদের মধ্যে ভাগ হয়।

এই বিষয়ে এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “চাঁদাবাজির বিষয়ে আমার জানা নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অর্থ, প্রশাসন ও ট্রাফিক)ও জানান, “যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায়, আমরা ব্যবস্থা নেব। টাকা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।”

সচেতন মহল মনে করছেন, দোহাজারীতে অবৈধ যানবাহন চলাচল এবং ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজি একত্রে এলাকায় সড়ক নিরাপত্তা ও জনস্বার্থের জন্য উদ্বেগজনক বিষয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *