গোবিপ্রবি প্রতিনিধি:
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দীর্ঘদিন ধরেই র্যাগিং একটি নিন্দনীয় প্রথা হিসেবে বিদ্যমান। নতুন শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে হয়রানি করার এ ধরনের কার্যক্রম শুধু তাদের পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট করে না, অনেক সময় তা ভয়াবহ পরিণতির দিকেও ঠেলে দেয়। ইতিমধ্যে দেশজুড়ে বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র্যাগিংয়ের কারণে শিক্ষার্থীরা বিপর্যস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, যা অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে র্যাগিং প্রতিরোধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোবিপ্রবি) প্রশাসন। শুধু নিয়মকানুন নয়, প্রয়োজনে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও আশ্বাস দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। র্যাগিংকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধে কমিটি গঠন, সচেতনতামূলক কার্যক্রম ও নিয়মিত টহলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আরিফুজ্জামান রাজীব বলেন, “র্যাগিং বন্ধ করার জন্য আমাদের একটি কমিটি আছে। অতিদ্রুতই আমরা উক্ত কমিটির পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেব। ইউজিসি থেকে মাদক এবং শৃঙ্খলা বিষয়ক একটি সেমিনার আয়োজনের নির্দেশনা আছে। আমরা সেই সেমিনারে র্যাগিংয়ের বিষয়টি সংযুক্ত করব, যেহেতু এটি আইন-শৃঙ্খলার মধ্যে পড়ে।”
সহকারী প্রক্টর আরিফুল ইসলাম বলেন, “ক্লাস চলাকালে আমরা প্রক্টরিয়াল বডি নিয়মিত টহল দিচ্ছি এবং শিক্ষার্থীদের র্যাগিং ও মাদকের অপকারিতা সম্পর্কে কাউন্সেলিং করছি। যদি কোনো শিক্ষার্থী র্যাগিংয়ের সাথে জড়িত অবস্থায় ধরা পড়ে তাহলে আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করব। এই শাস্তির মাধ্যমে অন্য শিক্ষার্থীরাও সচেতন হবে—এমন ব্যবস্থাও আমরা গ্রহণ করব।”
তিনি আরও বলেন, “র্যাগিংয়ের ভুক্তভোগী কোনো শিক্ষার্থী যদি যথাযথ প্রমাণসহ আমাদের সাথে যোগাযোগ করে তাহলে আমরা অপরাধীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।”