নিজস্ব প্রতিবেদক: নাসরিন ইসলাম নয়ন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র হত্যা মামলার আসামি, মামলা নং: ৫৬/২৪ (যাত্রাবাড়ী থানা)।
পিতা: সুবেদ আলী, মাতা: সাজেদা আলী, স্বামী: জহিরুল ইসলাম সরকার (ডিভোর্স দেওয়া), গ্রাম: মহন্নন, পোঃ গোয়ালবাড়ি, থানা: দাউদকান্দি, জেলা: কুমিল্লা। বর্তমানে তিনি ফার্মগেট মনিপুরীপাড়া বাসায় বসবাস করছেন।
বিগত সরকারের সময় ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিসেস রুনু বেগমের সঙ্গে তার দলে যোগ দেন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর মনিপুরীর বাসায় যাতায়াত শুরু করেন। এক পর্যায়ে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পি এস মনির ও মোশারফের কাছের লোক হয়ে ওঠেন। এরপর থেকে নাসরিন ইসলাম নয়নের আর পিছনে তাকাতে হয়নি। তাদের সেলটারে মাদক ব্যবসা, তদবির বাণিজ্য, পুরুষদেরকে ব্ল্যাকমেল করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন এবং অনেক সম্পদ গড়ে তোলেন এই দুর্ধর্ষ মহিলা।
তার সম্পদের মধ্যে রয়েছে যাত্রাবাড়ীতে সাত তলা ফাউন্ডেশন, তিন তলা বাড়ি (যার কোনো রাজউক প্ল্যান নেই), যাত্রাবাড়ীতে ফ্ল্যাট, ফার্মগেটে ফ্ল্যাট, প্রচুর নগদ অর্থ। এতকিছুর মালিক কিভাবে হলেন, এটাই সাধারণ মানুষের প্রশ্ন।
সে এমন একজন মহিলা যে কোনও পুরুষ তার ফাঁদে পড়লে তার জীবন শেষ। কোন মহিলা বান্ধবী নেই তার জীবনে। নাপিত, ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, মুদি দোকানদারি, ডিস ব্যবসায়ী, দেশি-বিদেশি, ক্যানাডিয়ান প্রবাসী বহু ব্যক্তির সঙ্গে তার পরকীয়া এবং তাদেরকে মিথ্যা বিয়ের প্রলোভন দেখায়। বিশ্বাস অর্জনের জন্য প্রথম স্বামী জহিরুল ইসলামকে ডিভোর্স দেয়। সরকারি কাবিন ব্যতীত বিয়ে করে এ পর্যন্ত কতজনকে সে বিয়ে করেছে, তা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে। এছাড়া পূর্বের স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার পর তার সঙ্গে একই বাসায় বসবাস করে।
বর্তমানে তিনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের সাথে ছাত্র হত্যার সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ছাত্র হত্যা ও মাদক সম্রাজ্যি হিসেবে মামলা নং ৫৬/২৪। তাই এ ধরনের প্রতারক, দেশের শত্রু, এখন কিভাবে প্রকাশ্যে ঘোরা-ফেরা করছে, এটাই প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন।