স্বাধীন সংবাদ ডেস্ক:
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, দেশের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীতে প্রায় ৫০ শতাংশ উপকারভোগী ভুতুরে। এদের মধ্যে কেউ কেউ প্রকৃত গরিব নন, আবার কেউ কেউ রাজনৈতিকভাবে সুবিধাভোগী।
তিনি বলেন, “আমরা এই সমস্যার সমাধান করতে জাতীয় পর্যায়ে একটি জনসংখ্যা রেজিস্টার তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি। এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জানা যাবে কারা প্রকৃত দরিদ্র এবং কোন পর্যায়ের দরিদ্র।”
ড. মাহমুদ এসব কথা বলেন সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল কনফারেন্স অন সোশ্যাল প্রটেকশন-২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। তিনদিনব্যাপী এই কনফারেন্সে দেশের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও দারিদ্র্য কমানোর কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করা হয়।
নায্যতাভিত্তিক সমাজে চরম দারিদ্র্য থাকবে না
উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “নায্যতাভিত্তিক সমাজে চরম দারিদ্র্য থাকতে পারে না। আমরা সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর একটি রোডম্যাপ তৈরি করছি, যা থেকে নির্বাচিত সরকার সহজেই কার্যক্রম শুরু করতে পারবে।”
ড. মাহমুদ আরও যোগ করেন, “ভুতুরে ও রাজনৈতিক সুবিধাভোগীদের চিহ্নিত করে প্রকৃত দরিদ্রদের জন্য সুবিধা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। এটি দেশের সামাজিক ন্যায় ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য।”
কনফারেন্সে বিশেষ অতিথি ও অংশগ্রহণকারীরা
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে বিশেষ অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব ড. শেখ আবদুর রশিদ। উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেসুর রহমান, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. মনজুর হোসেন, এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব জাহেদা পারভীন। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ান এইড, ইউএনডিপি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন।
কনফারেন্সে মূলত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর কার্যকারিতা, দরিদ্র ও ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর সঠিক শনাক্তকরণ, এবং নায্যতাভিত্তিক সুবিধা প্রদানের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। পরিকল্পনা উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, জনসংখ্যা রেজিস্টার প্রবর্তনের মাধ্যমে দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য আরও স্বচ্ছ ও কার্যকর সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হবে।