নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ সহকারী ফারুক এর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় দৈনিক স্বাধীন সংবাদ পত্রিকার সম্পাদককে প্রাণনাশের হুমকি

স্টাফ রিপোর্টার:

নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস এখন দুর্নীতি ও ঘুষখোরদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে এ অফিসে সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ হয় না। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গড়িয়েছে যে, সংবাদকর্মীরা তথ্য সংগ্রহে গেলে তাদেরকেও অফিস প্রাঙ্গণে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনাও ঘটেছে একাধিকবার।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি এই পাসপোর্ট অফিসের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা দায়ের করেছে। এর পর থেকেই কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। দুর্নীতিতে জড়িত অনেকেই নিজেদের কার্যক্রম গোপন রাখতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। সেই আতঙ্ক থেকেই সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে রাখা হচ্ছে।

এ বিষয় একাধিক পত্রিকায় পাসপোর্ট অফিসের উপ সহকারী হাট খালিশপুর, মহেশপুর ঝিনাইদহ জেলার আরমান আলী সরদার ও মোছাম্মদ নবিছন নেছার পুত্র ফারুক আহমেদ এই অপকর্মের মূল হোতা। আসলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ পরিচালক শামীম এসব অপকর্মের কিছুই জানেন না। দেখা গেছে যে উপ পরিচালকের নাম বিক্রি করে পাসপোর্ট অফিসের বদনাম করছে এই ফারুক।

গত সোমবার ০১ সেপ্টেম্বর দৈনিক স্বাধীন সংবাদ পত্রিকার শেষের পাতায় ফারুকের অপকর্ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে ফারুক দৈনিক স্বাধীন সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ আনোয়ার হোসেন আকাশের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে বলেন, আসেন আমরা রিলেশন করি, গতকাল সন্ধ্যায় ফোন দিয়ে বলেন, আমি একটি প্রতিবাদলিপি দিব এবং একসঙ্গে চা খাবো। যদি কষ্ট করে একটু জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মেট্ট লাউঞ্জে আসেন। দৈনিক স্বাধীন সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ আনোয়ার হোসেন আকাশ ওই সময় তোপখানা রোডে ছিল বিধায় তিনি আনুমানিক ৭:৩০ ঘটিকায় মেট্ট লাউঞ্জে গেলে ফারুকের সাথে সাক্ষাৎ হয়।

এক পর্যায় ফারুকের সাথে অনেক লোক এসে বসে। তারা কেউ বলে ঠিকাদার, কেউ বলে সাবেক ছাত্রদল নেতা। এসময় দুর্নীতিবাজ ফারুক বলেন, আজকের মধ্যে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ না দিলে আগামীকাল থেকে ঢাকা শহরের যেখানে পাবো সেখানেই আমার লোক তোকে জানে মেরে ফেলবে। এসময় সম্পাদকের সাথে এসটিভি বায়ান্নর স্টাফ রিপোর্টার মোঃ শামীম মিয়া উপস্থিত ছিলেন। পরে কৌশলে একজন সাংবাদিককে রিসিভ করার কথা বলে মেট্ট লাউঞ্জ থেকে স্বাধীন সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এবং সাংবাদিক শামীম মিয়া বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। এ বিষয় আজ শাহবাগ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *