শেখ মামুনুর রশীদ মামুন:
ময়মনসিংহে নিয়মবহির্ভূতভাবে পরিচালিত বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক অভিযানে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ও সীলগালা করা হয়। এ ঘটনায় ব্যাপক জনআক্রোশ ও প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
কিন্তু অভিযানের দু’দিনের মধ্যেই রহস্যজনকভাবে আবার সচল হয়ে যায় সীলগালা দেওয়া হাসপাতালগুলো। এতে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে—কার নির্দেশে বা কোন অদৃশ্য প্রভাবে বন্ধ হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় খুলেছে?
স্থানীয় সূত্রের দাবি, কয়েকটি হাসপাতালকে জরিমানা ও সীলগালা করার ঘটনা মূলত অন্যদের ভয় দেখানোর কৌশল। এই ভয়কে পুঁজি করে ময়মনসিংহের শতাধিক হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে গোপনে “তলভিট” আদায় করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রতিটি প্রতিষ্ঠান থেকে ন্যূনতম দুই থেকে তিন লাখ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। এতে অঙ্ক দাঁড়াচ্ছে কয়েক কোটি টাকা।
জনসাধারণের প্রশ্ন—এই অর্থ কোথায় গেল? সরকারের রাজস্ব খাতে জমা না হয়ে কার পকেটে চলে গেল কোটি কোটি টাকা—এমন প্রশ্নের কোনো স্পষ্ট উত্তর নেই। স্থানীয়রা বলছেন, “আমরা জানতেই পারছি না আসলে কী ঘটছে। নাটকীয় অভিযান আর লোক দেখানো জরিমানার আড়ালে আমাদের বোকা বানানো হচ্ছে।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, স্বাস্থ্য খাতের মতো স্পর্শকাতর ক্ষেত্রে এ ধরনের অভিযোগ শুধু জনআস্থার সংকটই তৈরি করছে না, বরং মানুষের জীবনকেও ঝুঁকিতে ফেলে। অভিযানের নামে তলভিট বাণিজ্যের অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রশাসনের নীরবতা বিষয়টিকে আরও রহস্যময় করেছে।
এখন সময় এসেছে প্রকৃত সত্য উন্মোচনের। সাধারণ মানুষ জানতে চায়—আসলে কারা এই দুর্নীতির হোতা, এবং কারা তাদের অদৃশ্য শক্তির মাধ্যমে এ ধরনের অপকর্ম চালাচ্ছে?