মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম:
উত্তরা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ১-এর সাইবার শাখার পুলিশ সদস্য নায়েক ইমান ইসলাম ও কনস্টেবল আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে মাদক সেবন, ঘুষ ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নায়েক নং-১৩২২ মোঃ ইমান ইসলাম (বিপি নং-৯৩১২১৪৯১৩১) ও কং আতিকুর রহমান (কং নং-১৩৫৭, বিপি নং-৯৫১৮২০৭০৯৫) বর্তমানে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ১-এর সাইবার শাখায় কর্মরত আছেন।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, নায়েক ইমান ইসলাম ও কং আতিকুর রহমান উত্তরা থেকে গাজীপুরের বিভিন্ন মাদকের স্পটে গিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে সাপ্তাহিক মাদকের টাকা উত্তোলন করেন। তারা টঙ্গী ব্যাংকের মাঠ বস্তি, আমতলী কেরানিরটেক বস্তি, মাজার বস্তি, বৌ বাজার তিনশো ফিটসহ বিভিন্ন স্থান থেকে মাদকের টাকা উত্তোলন করেন। তারা নিজে টাকা উত্তোলন করতে না পারলে কিছু সোর্সের মাধ্যমে টাকা উঠান।
তাছাড়া, তারা হারানো মোবাইল উদ্ধার করে মানুষের কাছ থেকে প্রতিটি মোবাইলের জন্য ২/৩ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। এ ব্যাপারে সবাইকে বলা হয়, কেউ যেন টাকার কথা না জানে। নায়েক ইমান ইসলাম একজন মাদক সেবনকারী বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এছাড়াও তারা বিভিন্ন স্থান থেকে মাদক (গাঁজা, ইয়াবা ট্যাবলেট) সংগ্রহ করে বিভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে বিক্রি করে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
অতিরিক্তভাবে, গত ১৮/০৮/২০২৫ তারিখে বৌ বাজার বাঁশ পট্টি এলাকা থেকে আল আমিন ও ড্যানিস সুমন নামে দুই জনকে মাদকসহ আটক করে, পরে ত্রিশ হাজার টাকা বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর নামে এক ব্যক্তি এপিবিএন-এর অধিনায়কসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
নায়েক ইমান ইসলাম ও কং আতিকুর রহমানের মুঠোফোনে কথা হলে তারা সব কিছু অস্বীকার করেন এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
এ বিষয়ে এপিবিএন-এর অধিনায়ক এডিশনাল ডিআইজি জনাব মোঃ আব্দুল লতিফ সাহেবের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, “জাহাঙ্গীর নামে একজন ব্যক্তি নায়েক ইমান ইসলাম ও কং আতিকুর রহমানের নামে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে যদি তারা দোষী প্রমাণিত হন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”