স্টাফ রিপোর্টার:
২৮ ডিসেম্বর একটি পত্রিকায় রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম উইং প্রথম সচিব জনাব মোহাম্মদ মহসিন মিয়া’র নামে একাধিক অভিযোগ সম্বলিত একটি অনুসন্ধানি রিপোর্ট প্রকাশ পেলেও তার উপযুক্ত শাস্তি প্রদানে কর্তৃপক্ষের কালক্ষেপণ প্রকাশ পাচ্ছে। আমরা যারা রোমানিয়া- বুলগেরিয়া- মলদোভা- নর্থ মেসিডোনিয়াগামী/ ভিসা-প্রত্যাশি ছাত্র-জনতা, তারা মহসিন মিয়া সম্পর্কে নিম্নোক্ত অভিযোগসমূহ সত্য বলে জানতে পেরেছে: ১। জনাব মহসিন মিয়া রোমানিয়া, বুলগেরিয়া, মলদোভা ও নর্থ মেসিডোনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফোন করে তার ক্যান্ডিডেটদের ভিসা প্রদানের জন্য তদবির করেন, যা কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত এবং উল্লেখিত দেশসমূহ এতে বিরক্ত। বিষয়টি দিল্লিতে অবস্থিত উক্ত দেশসমূহের দুতাবাসগুলো অবলীলায় এ বিষয়ে আমাদের প্রার্থীদের প্রশ্ন করছে ও ভিসা রিজেক্ট করছে।
ফলে এত লাখ লাখ টাকা-পয়সা খরচ করেও ভিসা পাচ্ছে না আমাদের জনগণ। ২। মহসিন মিয়া রোমানিয়ান সহকর্মীদের সাথে যৌন নিপীড়নমূলক আচরণ করেছেন (এরকম আচরণ তিনি বাংলাদেশে থাকতেও করেছেন বলে আমাদের কাছে অভিযোগ আছে)। ইউরোপের দেশগুলোতে এই ধরণের বিষয় অভান্ত সিরিয়াসলি নেয়া হয়। কূটনীতিক হবার কারণে তারা মহসিন মিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি অ্যাকশন না নিতে পারলেও, প্রভাব পড়ছে পুরো দেশের উপর। ৩। মহসিন মিয়া রোমানিয়ার ইমিগ্রেশন, শ্রম মন্ত্রণালয় ও রোমানিয়ার কোম্পানিগুলোর সাথে অভ্যন্ত বাজে ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ করেছেন আমাদের রোমানিয়া-বুলগেরিয়া-মলদোভা-নর্থ মেসিডোনিয়া প্রবাসী ভাইয়েরা। ফলে বাংলাদেশিদের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ইস্যু করা কমে গিয়েছে এবং অনেক বাংলাদেশিদের চাকরি থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। ৪। জনাব মহসিন বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যদের “তুমি” করে ডাকেন এবং তাদের “স্যার” ডাকতে বাধ্য করেন। অনেক সিনিয়র- সম্মানিত প্রবাসীদের তিনি “স্যার” ডাকতে বাধ্য করেছেন। এছাড়া তিনি কথায় কথায় নিজেকে “ক্যাডেট কলেজ- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র”, “লেবার উইং-এর ফার্স্ট বয় ইত্যাদি পরিচয় দিয়ে আত্ম-অহমিকায় ভুগে নিজেকে গৌরবান্বিত করার চেষ্টা করে প্রবাসীদের সাথে তার বিভাজন বাড়িয়েই চলছেন। ৫। ২০২৩ সালে শ্রম উইং খোলার পর জনাব মহসিন নিজেকে প্রধানমন্ত্রী (হাসিনা) কার্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রেস সচিব”, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া’র “ভাতিজা” পরিচয় দিতেন। পতিত। স্বৈরাচারের আমলে তিনি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ডঃ ইউনুস স্যার ও মাননীয় প্রবাসী উপদেষ্টা ডঃ আসিফ নজরুল স্যার সম্পর্কে জনসম্মুক্ষে বিষেদাগার করতেন। পতিত ফ্যাসিস্টের এই দোসরকে দ্রুত সরিয়ে নেয়া এখন সময়ের দাবি। ৬। সম্প্রতি রোমানিয়ান নাগরিককে জনাব মহসিন নিকৃষ্ট খ্রিস্টান শূকর’ বলে গালি দিয়েছেন। উক্ত রোমানিয়ান নাগরিক মহসিনের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে রোমানিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেদেন, আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন, মামলা করার প্রস্তুতি ও বুখারেস্ট প্রেস ক্লাবে প্রেস কনফারেন্স ডাকার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বাংলাদেশ সরকার জনাব মহসিনের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ না নিলে দুই দেশের সম্পর্ক ভলানিতে নেমে যেতে পারে। ৭। ২০২০, ২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ সালের প্রথমার্ধে রোমানিয়ায় প্রবেশকারী বিদেশি শ্রমিকদের মধ্যে বাংলাদেশ” শীর্ষস্থানে ছিল। কিন্তু রোমানিয়ায় শ্রম উইং-এর প্রতিষ্ঠাতা দাবিকারী মহসিন মিয়ার যোগদানের পর সব পরিবর্তিত হতে থাকে। বাংলাদেশ এখন প্রখম ৩ দেশের মধ্যেও নেই। কারণ, ডিমান্ড লেটার সত্যায়নের ক্ষেত্রে জনাব মহসিন এত আমলাভান্ত্রিক জটিলতা তৈরি করেছেন যে, কোন রোমানিয়ান কোম্পানি ভযে আর তার কাছে যান না। বরং তারা এখন নেপাল, স্ত্রী লংকা, ফিলিপাইন ও ভারতমুখী। তারপরেও, কোন কোম্পানি তার কাছে ডিমান্ড লেটার সত্যায়ন করতে আসলে তিনি ইনিয়ে বিনিয়ে ৫০% পর্যন্ত তার নিজস্ব কোটা চেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক রোমানিয়ান ব্যবসায়ী। এদ্বাড়া মহসিনের প্রেস্ক্রিপশনে ইগঊঞ ঈধৎফ ইস্যুকরণ করতে ইগঊঞ অনেক “নাল ফিতার দৌরাত্মা” দেখাচ্ছে। ফলে রোমানিয়া-বুলগেরিয়া গামী অনেক ব্যক্তির ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে তারা আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে রেখেছেন। ০৮। মহসিন সাহেব দেশে প্রবাসীদের লাশ পাঠানোর জন্য প্রবাসীদের কাছে সরাসরি অর্থ চেয়ে প্রবাসীদের মনে বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকার সম্পর্কে বিরুণ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে চাইছেন। আমরা জানি যে. প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় না পারলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের ফান্ড থেকেও অর্থ প্রদান করতে পারে। এক্ষেত্রে জনাব মহসিন কার এজেণ্ডা বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছেন, সেটা প্রশ্নবিদ্ধ। ০৯। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মহসিন মিয়া রোমানিয়ার বাংলাদেশ কমিউনিটির নামে সিখ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে “মানবপাচারকারি আখ্যা দিযেছেন। ইতিমধ্যে ভারা এটি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন এবং মহসিন মিয়ার নামে মানহানির মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ বিষয় আজ জাতিয় প্রেসক্লাবের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন মো: সম্রাট, শাহাদাত হোসেন, ইসমাইল কাজী, শোহাগ কাজী, রাসেল, মুরাদ, হাবিব সহ একাধিক ভুক্তভোগী