স্টাফ রিপোর্টার:
পুঠিয়া উপজেলার আতঙ্কের নাম খান মামুন। ৯৬ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত খান মামুন ছিলেন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত যুবলীগের সাংগঠনিক। ছিলেন। ২০০৮ সালে বিএনপি’র সংসদ সদস্য এডভোকেট নাদিম মোস্তফার হাত ধরে বিএনপিতে যোগদান করেন। তারপরেই শুরু হয়। পুঠিয়া উপজেলা বিএনপি দুই ভাগে বিভক্ত। পুঠিয়া উপজেলা সাধারণ জনগণ মামুনকে মেনে নিতে চায় না। কারণ মামুনের রাম দায়ের কবের আঘাতের চিহ্ন বিএনপির অনেক নেতার শরীরে রয়েছে।
ইতোমধ্যে অ্যাডভোকেট মোস্তফা ইন্তেকাল করেন ইন্তেকালের পরে। সন্ত্রাসী খান মামুন বিএনপি’র পক্ষ থেকে নমিনেশন পেপার জমা দেন মেয়র পদে। বিএনপি’র কোন প্রার্থী ভয়ে দাঁড়াতে পারে নাই। পৌর আওয়ামী লীগ থেকে । পৌর নির্বাচনে তিনজন প্রার্থী ভোট করেন।
এই সুযোগে ১৪৭ ভোটে খান মামুন জয়লাভ করেন। ২০২৩-২৪ এ নারী কেলেঙ্কারি তিনটা মামলা তার বিরুদ্ধে হয় । পাঁচই আগস্টের পরে মামুন এবং দীপ বাহিনী নামে পরিচিত একটি বাহিনী গঠন করেন। এবং এই বাহিনীর নাম শুনলে শিশু বাচ্চাদের কান্না থেমে যায়। পুকুরে ইজারাদার থেকে। জোরপূর্বক মাছ মেরে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এবং বিএনপি’র বাবা বলেই পরিচিত তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারে না। এবং কোন সাংবাদিক তার বিরুদ্ধে লিখতে পারে না। মামুন খান একজন আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান।
তার মেজ ভাই মিঠুন পুঠিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। এবং তার বাবা মৃত আলী হোসেন ছিলেন পুঠিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা। বর্তমান রানিং তার চাচাতো ভাই ঠিকাদার লালন এর মাধ্যমে পৌরসভা যত কাজ আসে সম্পূর্ণ মামুন তার ভাই লালন কে দিয়ে করায়। মামুন এবং লালন খানের ভয়ে ইঞ্জিনিয়ার ওই রাস্তায় তদারকি করতে ভয় পান।
লালন খানের দীর্ঘদিনের মিস্ত্রি লিয়াকত আলী বলেন ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল ভয়ে একদিনও রাস্তার কাজ দেখতে আসেন না। এবং অনুসন্ধানে আরো উঠে আসে। ২০ বেরেল পিছের কাজ দশ বেরেল দিয়ে কাজ করেন। সর্বোচ্চ ওই রাস্তা দুই থেকে তিন মাস টিকে। তারপরে নষ্ট হয়ে যায়। এবং পাঁচ এ আগস্ট এর পরে পুঠিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের লিডারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পালানোর সুযোগ করে দিয়েছে অর্থের বিনিময়ে।
অনুসন্ধানে উঠে আসে। মামুন বিএনপি’র নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত রয়েছেন। এবং এই খান মামুন বিএনপি হয়েও বিএনপির নেতাকর্মীকে আঘাত করে যাচ্ছে এখন পর্যন্ত। তার বিরুদ্ধে থানা তে অভিযোগ দিতে ভয় পান জনগণ।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এই ঠিকাদার লালন অনেক দুর্নীতি করে পৌরসভার যত কাজ সে দখল করে নিয়ে নিজেই করেন। বর্তমান অন্তরবর্তী সরকারের কালে তার চাচাতো ভাই পুঠিয়া পৌরসভার মেয়র আল মামুন খানের সাথে থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের কালেও সে বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন রাস্তার কাজ করেছে এবং অনেক দুর্নীতি রয়েছে। একটি রাস্তার প্রতি যে টাকা বরাদ্দ হয়েছে তার ফিফটি পার্সেন্ট কাজ করে নি। সিক্সটি পার্সেন্ট কাজ সে চুরি করেছেন। এবং এই ঠিকাদার লালন আওয়ামী লীগের পিরিয়ডে সে যুবলীগের পদে ছিলেন।
যতগুলো রাস্তার কাজ করেছেন ওই হেড মিস্ত্রির নাম হচ্ছে লিয়াকত আলী। লিয়াকত আলীর সাক্ষাৎকার নিতে গেলে লিয়াকত আলী এসব কথা বলেন আমাকে একশ টাকার কাজ ৫০ টাকায় করতে বলেন আমার কি উপায় আমি সেইভাবে কাজ করে এসেছি যে কয়দিন টিকে টিকু । লিয়াকত আলীর ভিডিও সংযুক্ত করা হলো।