মানিকগঞ্জের আটিগ্রাম ইউনিয়নে রাতের আঁধারে তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি কাটার তান্ডব

স্টাফ রিপোর্টার:
রাতের আঁধারে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার আটিগ্রাম ইউনিয়নের কোড়িখোলার চকে তিন ফসলি কৃষি জমি থেকে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে জাহিদ,বক্কর অজ্ঞাত ৫থেকে৬ জন মাটি ব্যবসায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। প্রশাসনের চোখে ধূলি  দিয়ে ১২থেকে ১৫ ফিট গভীর গর্ত করে রাতের আধারে তিন ফসলি কৃষি মাটি কেটে ড্রাম ট্রাক গাড়ি ভর্তি করে বিভিন্ন ইটভাটায় পাচার করা হচ্ছে বলে  জানান স্থানীয়রা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আটিগ্রাম  ইউনিয়নের কোড়িখোলা   এলাকায় স্হানীয় পোকৌশল  অধিদপ্তরের নির্মিত গ্রামীণ রাস্তা নষ্ট করে ও আবাদি ফসল বিনষ্ট করে  মাটি বাণিজ্য করছে। এতে একদিকে  সরকারের কোটি কোটি টাকা অপচয় হচ্ছে ও তিন ফসলি কৃষি জমি হুমকির মুখে পতিত হচ্ছে। এ মাটি বানিজ্য  ১০ থেকে ১৫ দিন ধরে সন্ধ্যা রাত থেকে ভোর পর্যন্ত চলে এ মাটি কাটার মহা উৎসব। এতে করে জমির আশেপাশে অবিস্থিত সরিষা আবাদি ইরিগেশন জমির ক্ষেত ভেঙে  যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এছাড়া মাটিকাটার স্থানের চারদিকে আবাদি জমির রবি শস্য  গুলো নষ্ট করে এসব মাটি কাটা হচ্ছে বলে জানান কৃষকরা। এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি কাটার কারণে আশপাশের ফসলি জমি, গ্রামীণ রাস্তা ঘাট হুমকির মুখে পড়েছে। তাছাড়া মাটি ব্যবসাহীরা অনেক  ক্ষমতাশালী হওয়ার কারণে ভয়ে মুখ খুলতে পারি না, এতে বাঁধা দিতে এলে প্রাণে নাশ করার হুমকি দেওয়া হয়।
তবে কৃষকরা সাংবাদিকদের কাছে বিনয়ের সহিত বলেন ভাই কি! করবেন সাক্ষাতকার নিয়ে শত নিউজ করলেও মাটি কাটা বন্ধ হবে না কারন ওদের আছে টাকা আর টাকা থাকলে এদেশে কি! না হয় কারণ প্রকাশ্য যে ভাবে মাটি কেটে উজার করছে কোনদিন দেখলাম না যে মাটিকাটা স্হায়ী ভাবে বন্ধ হইলো।
এ বিষয়ে মাটি ব্যবসয়ী জাহিদ, বক্কর দায়সারা বক্তব্য দেন।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর   উপজেলা নির্বাহী  অফিসার  (ইউএনও) শেখ মেজবাহ উল সাবেরিন বলেন, বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন,২০১০ অনুযায়ী এবং অনান্য আইন অনুযায়ী প্রতিনিয়ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এবেপারে প্রশাসন আন্তরিক ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নির্দিষ্ট এই অভিযোগে ভিত্তিতে জরুরী ব্যবস্হা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *