বেড়াতে গিয়ে পিরিয়ড হওয়া মানেই ছুটির বারোটা বাজা?

স্বাধীন লাইফস্টাইল ডেস্ক :  

 

বেড়াতে গিয়ে পিরিয়ড হওয়া মানেই ছুটির বারোটা বাজা। একে তো শারীরিক ধকল, পিরিয়ড ক্র্যাম্প, মুড সুইং-এর সমস্যা আছেই, তার ওপর রয়েছে পরিচ্ছন্নতার চিন্তা। দীর্ঘক্ষণ একই প্যাড ব্যবহারের ফলে স্যাঁতসেঁতে ভাব, ঘোরাঘুরির সময় অতিরিক্ত ঘাম, থাই পেশিতে ঘষা লেগে ফুসকুড়ি। এমন একাধিক কারণ বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে ফেলতে পারে যে কাউকে।

কিন্তু এভাবে তো চলতে পারে না। জীবনে এগিয়ে যেতে হলে সমস্যা ও সমাধান দুটিই অপরিহার্য। তাই বেড়াতে গিয়েও পিরিয়ড হলে সতেজ ও পরিচ্ছন্ন থাকতে কয়েকটি পরামর্শ মেনে চলতে পারেন। চলুন জেনে নেই এ সম্পর্কে।

বাইরে বেরোনোর আগে ইনটিমেট স্থান ধুয়ে নিন

বাইরে বের হওয়ার আগে মাইল্ড সাবান বা লিক্যুইড দিয়ে ইনটিমেট এলাকাগুলো ভালো করে ধুয়ে নিন। এর ফলে সেখানে জমে থাকা ঘাম, রক্ত ও ময়লা ইত্যাদি দূর হবে। তারপর সেই স্থানটি শুষ্ক কাপড় দিয়ে মুছে শুকিয়ে নিন। এই অভ্যাস সারাদিন ধরে তরতাজা থাকার একটি ব্রহ্মাস্ত্র। সারাদিন ঘোরাঘুরির পর হোটেলে ফিরে ফের ইনটিমেট স্থান পরিষ্কার করতে হবে।

ইনটিমেট ওয়াইপস সঙ্গে রাখুন

হাঁটাচলা, নতুন শহর ও দর্শনীয় স্থান কিংবা সমুদ্র সৈকতে ঘোরার সময় অতিরিক্ত ঘাম হওয়া স্বাভাবিক। ঘোরার সময় তো আর ইনটিমেট স্থান ধোয়া সম্ভব নয়, তাই অস্বস্তি এড়াতে ইনটিমেট ওয়াইপস ব্যাগে রেখে দিন। সময় সুযোগ পেলে সেগুলো দিয়েই স্থানটি পরিষ্কার করে নেওয়া যাবে। ইনটিমেট ওয়াইপস কেনার সময় তার উপাদানগুলো একবার দেখে নেবেন। অ্যালোভেরা জেল সম্পন্ন ওয়াইপস সবচেয়ে বেশি আরামদায়ক।

পাতলা প্রাকৃতিক প্যাড ব্যবহার করুন

বেশিরভাগ স্যানিটারি ন্যাপকিনই সিন্থেটিক হয় ও সেগুলো আর্দ্রতা আটকে রাখে। আর এর ফলে ঘর্ষণ, জ্বালা, ফুসকুড়ি ও ত্বকের সংক্রমণ দেখা দেওয়া খুব স্বাভাবিক। চেষ্টা করুন পাতলা প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি প্যাড ব্যবহার করতে। সেগুলো দামে একটু বেশি হলেও যথেষ্ট আরামদায়ক।

ব্যাগে রাখুন ফুসকুড়ি ক্রিম

ঘাম, স্যাঁতসেঁতে ভাব এবং ঘর্ষণের কারণে যৌনাঙ্গের ত্বকে জ্বালা ধরতে পারে। অ্যান্টি-চেফিং ক্রিমের একটি বোতল ব্যাগে রাখলে এই সমস্যার হাত থেকে বাঁচতে পারবেন। এটি ফুসকুড়ি প্রতিরোধ করে। জ্বালাপোড়া কম হয়।

মেন্সট্রুয়াল কাপ

বেড়াতে যাওয়ার সময় মেন্সট্রুয়াল কাপ কিন্তু দারুণ কাজ দেয়। এর ব্যবহারে পিরিয়ডের রক্ত সরাসরি ত্বক স্পর্শ করে না। ফলে স্যাঁতসেঁতে ভাব কিংবা অস্বস্তিও হয় না। পরিচ্ছন্নতা নিয়েও বিশেষ ভাবতে হয় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *