“বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ” নেত্রকোণা— আটপাড়ার হত্যা মামলা নিয়ে পলাশের তালবাহানা— অভিযোগ বাদীর

মোশাররফ হোসেন জসিম পাঠান:

 

নেত্রকোণা জেলার আটপাড়া উপজেলাধীন দুওজ ইউনিয়নের বানিয়াগাতি গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে মোঃ পিয়াস (২১) হত্যা মামলা নিয়ে পলাশের তালবাহানা— অভিযোগ বাদীর। সূত্রে জানা যায়, মজিবর রহমান মৃত্যুর পর হতেই জমি জমা বিষয়াদি নিয়ে ভাইবোনদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে গত ১৩/১২/২০২১ইং তারিখে ভগ্নিপতি ও বোনদের সাথে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কথা কাটাকাটি লেগে এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়ে। এ সময় পিয়াস গুরুতর আহত হয়।

আহত ব্যক্তির চিৎকারে আশেপাশে লোকজন দ্রুত এগিয়ে এসে আহত পিয়াসকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে, ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এবং পুলিশকে খবর দিলে মৃতক পিয়াস এর লাশ সুরতহাল করে। পোস্টমর্টাম এর জন্য মর্গে প্রেরণ করেন। উল্লেখিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মৃতক পিয়াস এর মা রুমেলা আক্তার বাদী হয়ে গত ১৪/১২/২০২১ ইং তারিখে আটপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর প্রতিপক্ষ মোঃ চনু ফকির সহ ১২ জনকে আসামী করে একটি লিখিত এজাহার দ্বায়েল করেন। যাহার আটপাড়া থানার মামলা নং ১০, এফআইআর নং— ১০/২৫৯ পেনালকোর্ট— ১৬০, অতিরিক্ত কেস ডাইরি নং— ০১।

উক্ত মামলাটি বিচারাধীন থাকায় মামলার বাদীকে পলাশ ও তার স্ত্রী খাদেজা মামলাটি পরিচালনা না করার জন্য হুমকি দেয়। এর জের ধরে ৪ বার হত্যা মামলার বাদীকে ব্যাপক মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় এবং বাদীনির স্বামীর রেখে যাওয়া জমিজমা, টাকা পয়সা একক ভাবে পলাশ গ্রাস করে। পুরো গ্রামে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন।

এই নিয়ে পুরো এলাকা জুড়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে, ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিক গণ তথ্য সংগ্রহ করতে সরেজমিনে গেলে ভুক্তভুগী মামলার বাদীনি রুমেলার কাছে জানতে চাইলে তিনি সত্যতা স্বীকার বলেন, আমার ছেলে পিয়াস হত্যার পর থেকেই পলাশ ও তার অনুসারী আওয়ামী সমর্থিত নেতাকর্মীদেরকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও প্রান নাশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মামলার সাক্ষীগণদের সাক্ষী না দেওয়ার জন্য বাধা প্রদান করেন।

ইতিমধ্যে একজন সাক্ষী কোর্টে সাক্ষ্য দিয়ে আসায় তার বাড়ির খড়ের গাদায় রাতের আঁধারে আগুন ধরিয়ে দেয়। বর্তমানে মামলার বাদীনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ ব্যাপারে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে হত্যা মামলার বাদীনি চিৎকার করে বলেন আমি পিয়াস হত্যার বিচার চাই, আমি জেলার উধ্বর্তন কর্মকর্তা ও বিজ্ঞ বিচারক এবং জেলা পুলিশ সুপারের কাছে যাব সেখানে গিয়ে পিয়াস হত্যার অপরাধী ও পলাশের বিচার চাইব।

যারা বিচার মামলাটির বিচার চায় তারা হলেন: সাইকুল ইসলাম, শামীম মিয়া, কাজল মিয়া, স্বপন মিয়া, খাইরুল ইসলাম, শেকুল মিয়া, কামরুজ্জামান, আল খাইরুল, নজরুল মিয়া, রুকন মিয়া সহ আরো অনেকেই। প্রকাশ থাকে যে, পলাশ উক্ত মামলার প্রতিপক্ষের কাছ থেকে অনেক উৎকুচ আদান প্রদান করে। উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা…চলবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *