মানবিক পুলিশ অফিসার ডিসি ওয়ারী জোন,জুরাইন বাজারের মিজান রাইস এজেন্সি সরকারি চাল ক্রয় ও বিক্রয়, দুই ট্রাক চাল আটক

রিয়াজুল ইসলাম আফজাল:

দেশের অভাবি গরীব অসহায় মানুষের জন্য কম দামে খাদ্য মন্ত্রণালয় টিসিবি, ওএমএস সহ বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে কম দামে ডিলারের মাধ্যমে গরীব মানুষের কাছে বিক্রির ব্যবস্থা করছে। কিন্তু অসাধু ডিলারগণ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ম্যানেজ করে গরীব দু:খি মানুষের চাল গরীব দু:খিদের কাছে বিক্রি না করে বেশি দামে সরকারি বস্তা পরিবর্তন করে বেশি মূল্যে বাজারে বিক্রি করছে।

এরকমই একজন অসাধু ডিলার মিজান রাইস এজেন্সির মালিক তিনি সরকারি চাল কম দামে ক্রয় করে বেশি দামে বাজারে বিক্রি করছে। আজ ৪ টি ট্রাক ভর্তি সরকারি চাল অবৈধ ভাবে ক্রয় করে মিজানের গোডাওনে গুদামজাত করার খবর সাংবাদিকরা পায়। সাংবাদিকগণ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গেলে দেখতে পান যে সেখানে আসলেই ৪ টি ট্রাক দার করানো।

সাংবাদিক দেখা মাত্রই দুটি ট্রাক পালিয়ে যায়, বাকি দুটি ট্রাকের ড্রাইভার দুরে থাকায় পালাতে পারেননি। বিষয়টি তাৎক্ষনিক শ্যামপুর থানার ওসিকে জানালে তিনি এক ঘন্টার মধ্যেও কোনো পুলিশ পাঠাননি। কেন পুলিশ পাঠায়নি জানতে চাইলে শ্যামপুর থানার ওসি বলেন, বিষয়টি থানা পুশিশের দেখার নয়, আপনারা খাদ্য অধিদপ্তরে অভিযোগ দিন অথবা নিজেরা মিমাংসা করুন।

সাংবাদিকরা বুজতে পারেন যে শ্যামপুর থানার ওসি কোনো পুলিশ পাঠাবে না তাই বাধ্য হয়ে ওয়ারি বিভাগের ডিসি মহাদয়কে জানালে তিনি অত্যন্ত ধৈর্য সহকারে সব কথা শুনেন এবং কিছুক্ষনের মধ্যেই শ্যামপুর থানার এস আই মাসুদকে পাঠান। পরে মিজান রাইস এজেন্সির মালিক বলেন, এই চাল গুলো তিনি রাজারবাগ থেকে কিনেছেন। এগুলো রাজারবাগ পুলিশের চাল।

এসময় তিনি কয়েকটি কাগজ দেখান যেগুলো অনেক দিন আগের। আজ যে তিনি চাল কিনেছেন তার কোনো কাগজ দেখাতে পারেননি। এ বিষয় শ্যামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে গেলে দেখা হয় শ্যামপুর থানার ওসি এবং এসির সাথে। শ্যামপুর থানার ওসি সাংবাদিকদের বলেন, স্যার এগুলো আসলেই রাজারবাগ পুলিশেরই চাল। তিনি আরও বলেন আমি মাসে ৫০ কেজি চাল পাই যা আমিও বিক্রি করে দেই।

রাজারবাগ থেকে কোনো রিসিট দেওয়া হয় না। সাথে সাথে সাংবাদিক হাসান বলেন, রাজারবাগ থেকে কত বস্তা মাল ক্রয়-বিক্রি হয়েছে তার পাকা রিসিট অবশ্যই দেওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে সরকারি চাল চোরেরা অবাধে ক্রয় বিক্রি করার জন্য থানা পুলিশকে দীর্ঘদিন যাবদ মাসহারা দিয়ে আসছে। যার কারনে তারা সরকারি চাল বিক্রি করতে পারছে।

শ্যামপুর জোনের এসি বলেন, গরীবের চাল চুরি করে বেশি দামে বিক্রি করে ওএমএস এর ডিলার ও সরকারি কর্তারা। তিনি ওসিকে নির্দেশ দেন বিষয়টি ভালো ভাবে দেখার। পরে শ্যামপুর থানার ওসি বলেন, আপনারা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিন।

অতঃপর চাল চোরের বিরুদ্ধে জনসার্থে লিখিত অভিযোগ দেন মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এন্ড প্রেস সোসাইটির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন আকাশ। বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে দরদাম চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *