জাহাঙ্গীর আলম:
কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট মানিকগঞ্জ অফিসে দুর্নীতি ও অনৈতিক সুবিধা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে কর্মকর্তা মোঃ বেলাল আহমেদ (এ.আর.ও) বিরুদ্ধে। গ্রাহকদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা আদায় করতে না পারলেও তাকে ফৌজদারি অর্থাৎ পুলিশ কেস মামলাসহ নানাভাবে অফিসে এনে ভয়ভীতি ও হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার ১৩ মে ২৫ ইং তারিখে আনুমানিক দুপুর ১২ ঘটিকা হতে প্রায় ১ ঘণ্টা মোঃ বেলাল আহমেদ (এ.আর.ও) নামে কর্মকর্তা, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার মানিকগঞ্জ অফিসে বসে ঘিওর উপজেলার ন্যাশনাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজার মোঃ হুমায়ুন আহমেদকে ফোনযোগে ডেকে এনে “শাওন স্টিল কর্পোরেশন”-এর ৫০০ টাকার ভুয়া একটা ভ্যাটের চালান ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের, সেটা ন্যাশনাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নামে ভ্যাট দেখানো হয়েছে বলে ফৌজদারি মামলা অর্থাৎ পুলিশ কেসের ভয়ভীতি দেখিয়ে জরিমানা বাবদ ৫ হাজার টাকা সরকারি খাতে জমা ও ১০ হাজার টাকা অফিস খরচ বাবদ দাবি করছে। আনুমানিক ১ ঘণ্টা অফিসে বসিয়ে অনৈতিক সুবিধা চাচ্ছে।
ন্যাশনাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজার মোঃ হুমায়ুন আহমেদ বলছেন, “স্যার, বাঁচার উপায় কিভাবে?” পরিশেষে বেলাল আহমেদ (এ.আর.ও) নামের ঐ কর্মকর্তা বলছেন, “বাঁচার উপায় আছে। ‘শাওন স্টিল কর্পোরেশন’-এর ভ্যাটের জায়গায় নতুন ভ্যাটের জন্য ৫ হাজার আর অফিসের বড় স্যার ও স্টাফ রাশেদ স্যারকে ম্যানেজ করতে কমপক্ষে ১০ হাজার টাকা লাগবে। বিষয়টি গোপন থাকবে, কেউ জানবে না।”
বিভাগীয় কর্মকর্তা কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট মানিকগঞ্জ বিভাগের অলোক কুমার হাজরা বলেন, “বিষয়টি আমি দেখতেছি, এরকম কোন অভিযোগ পেলে অফিসে জানাবেন।”
যেহেতু মূসক আইনের ৯ ধারা মোতাবেক রেয়াত গ্রহণ করা হয়নি এবং মূসক আইনের অধীনে অর্থদণ্ড প্রদানের আদেশ কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারের এখতিয়ার বহির্ভূত এবং ৩৭ নং ধারার সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন। উল্লেখ্য, একটি কর দাবির আদেশের পর দ্বিতীয়বার একই কর দাবি করার অর্থ হলো বে-আইনিভাবে ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে ডাবল ট্যাক্স দাবি করা হচ্ছে।