স্টাফ রিপোর্টার:
রাজধানীর কদমতলী ৬৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি শাহআলমের ভাই হাসান সরকারের বিরুদ্ধে সালিশে একই ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা পারভেজ আলম শওকতকে পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শওকত বাদী হয়ে কদমতলী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে এ বিষয়ে হাসান সরকারের বক্তব্য জানতে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তুষারধারা এলাকার বাসিন্দা আশিক একই এলাকার গৃহবধূ কল্পনা বেগমের কাছে ১৪ হাজার টাকা পান। কল্পনা বেগম বলেছিলেন যে, তিনি এই টাকা শীঘ্রই পরিশোধ করবেন। তবে আশিক তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে কদমতলী ৬৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি শাহআলমের ভাই হাসান সরকার ও তার সহযোগীদের নিয়ে কল্পনা বেগমের বাসায় প্রবেশ করে জোরপূর্বক ফ্রিজ ও অন্যান্য জিনিসপত্র নিতে চায়।
এসময় কল্পনা বেগম বিষয়টি জানিয়ে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা পারভেজ আলম শওকতকে ঘটনাস্থলে ডাকেন। শওকত স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজনের সহায়তায় বৃহস্পতিবার বিকালে সালিশ বৈঠক করে বিষয়টি মীমাংসা করেন এবং পাওনাদারও সমাধানে সম্মত হন। কিন্তু এই সমাধানে অখুশি ছিলেন যুবদল নেতার ভাই হাসান সরকার। তিনি সালিশে শওকতের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাসান সরকারের নেতৃত্বে ৭-৮ জন শওকতের পেটে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যার হুমকি দেন এবং তাকে বেদম মারধর করেন। এর ফলে শওকতের মাথা ফেটে যায় এবং হাত ভেঙে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আয়ুব জানিয়েছেন, “অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তবে এ বিষয়ে এখনও কদমতলী থানা পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানা গেছে।