রাজধানীতে টিআই শামসুদ্দোহার সিএনজি বাণিজ্য

স্টাফ রিপোর্টার: 

দেশের আনাচে-কানাচে অবৈধ ব্যবসায়ীরা রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার জন্য বেছে নিচ্ছে অবৈধ পথ। মোট কথা হলো—টাকা চাই, বড়লোক হতে হবে, বাড়ি-গাড়ি করতে হবে—বৈধ হোক কিংবা অবৈধ।

রাজধানী ঢাকা শহরে বিভিন্ন রকম অপকর্ম চলছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো সিএনজি বাণিজ্য। বহুদিন ধরেই ঢাকায় নতুন সিএনজি রেজিস্ট্রেশন বন্ধ। ফলে ঢাকা জেলা, নারায়ণগঞ্জ জেলা, গাজীপুর জেলা বা প্রাইভেট সিএনজি নাম দিয়ে চলছে রাজধানীর বুকে। ঢাকায় একটি সিএনজির দৈনিক জমা ১,০০০ টাকা, আর জেলার গাড়ির দৈনিক জমা ৫০০ টাকা। ১,০০০ টাকার লোভে জেলার গাড়িগুলো বিভিন্ন ব্যানারে ঢাকায় প্রবেশ করে এবং মালিকরা ওই হারে ভাড়া আদায় করে।

এই বাণিজ্যের সাথে নাম জড়িয়েছে গুলশান জোনের টিআই শামসুদ্দোহার। রাজধানীতে প্রতিদিন অনেকগুলো প্রাইভেট সিএনজি ভাড়া চলে এবং গাড়ি প্রতি সরাসরি ড্রাইভারদের কাছ থেকে ১,০০০ টাকা  ভাড়া নেন এই টিআই শামসুদ্দোহা। জানা যায় তার একাধিক নিজেস্ব গাড়ি রয়েছে।

গতকাল মিরপুর মাজার রোডে ঢাকা- দ ১১-০৯৫৭ নম্বরের একটি গাড়ি চোরাই সন্দেহ হলে টিআই শামসুদ্দোহা নিজেই ঘটনাস্থলে আসেন। গাড়ির কোন কাগজপত্র না থাকায় সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়। ঘটনাস্থলে এসে তিনি সবার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন এবং পুলিশের পরিচয়ে হুমকি-ধামকি দেন।

প্রশ্ন উঠেছে—একজন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) কি নিজে অবৈধভাবে গাড়ি চালাতে দিতে পারেন? হুমকি দিতে পারেন? সাধারণ মানুষের সঙ্গে অসভ্য আচরণ করতে পারেন? প্রশ্ন প্রশাসনের কাছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *