পলাশে ছাত্রদলের শান্তি সমাবেশে ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

আনোয়ার হোসেন আনু:

নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় ছাত্রদলের শান্তি সমাবেশে গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে ঘোড়াশাল পৌর বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো। সোমবার (১৬ জুন) বিকেলে ঘোড়াশাল পৌরসভার পলাশ বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পলাশ থানার ফটকে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশে পরিণত হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের আশ্রয়ে থাকা সাবেক এমপি খসরু চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও আলোচিত ‘জুয়েল বাহিনী’ পরিকল্পিতভাবে রবিবার সন্ধ্যায় ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালায়। হামলায় ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণে গুরুতর আহত হন পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা ইসমাঈল হোসেন এবং সিএনজি চালক সোহেল মিয়া। এছাড়াও আরও কয়েকজন আহত হন।

সমাবেশে বক্তারা দাবি করেন, “ছাত্রদল নেতা ইসমাঈল ১৭ বছর ধরে রাজপথের আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন।” তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। বক্তারা অবিলম্বে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ফজলুর কবির জুয়েল ও তার বাহিনীকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন ঘোড়াশাল পৌর বিএনপির সভাপতি মো. আলম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা অ্যাডভোকেট বাছেদ মিয়া, ছাত্রদল নেতা নাজমুল হোসেন সোহেল, আমানউল্লাহ আমান, আরিফুল ইসলাম আরিফ, মনিরুজ্জামান মনিরসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।

এদিকে রবিবার সন্ধ্যায় ছাত্রদলের শান্তি সমাবেশ চলাকালে স্থানীয় বিএনপি নেতা ফজলুর কবির জুয়েলের শোডাউনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধে। এতে ছাত্রদল কর্মী ইসমাঈল ও সিএনজি চালক সোহেল গুলিবিদ্ধ হন এবং পুলিশসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।

রাতেই ছাত্রদলের পক্ষ থেকে ফজলুর কবির জুয়েলকে প্রধান আসামি করে মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। বিষয়টি পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন নিশ্চিত করলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *