স্বাধীন আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে ত্রাণের জন্য অপেক্ষমাণ ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৪৫ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরও অনেকে। শনিবার আল-তাহলিয়া রাউন্ডআবাউট এলাকায় এ বর্বর হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ঘটনার সময় বহু মানুষ সেখানে মানবিক ত্রাণ সংগ্রহের জন্য জড়ো হয়েছিলেন। কিন্তু ইসরাইলি বাহিনীর এ হামলা ত্রাণপ্রত্যাশী নিরীহ মানুষের জন্য মৃত্যুকূপে পরিণত করে সেই এলাকা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, “নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ, ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট ও অপারেশন থিয়েটার মৃত ও আহতের ভিড়ে উপচে পড়ছে।”
এ ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল যখন “গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন” নামের একটি বিতর্কিত ত্রাণ কেন্দ্র নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের সমর্থনে পরিচালিত এই কেন্দ্র ইসরাইলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করছে। বহু পর্যবেক্ষক ও মানবাধিকার সংস্থা এই ধরনের কেন্দ্রকে ‘মানব কসাইখানা’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেন, “ইসরাইলের যুদ্ধ পরিচালনার ধরণ এবং ব্যবহৃত অস্ত্র-গোলাবারুদের প্রয়োগ—ফিলিস্তিনিদের ওপর অমানবিক, ভয়াবহ ও গ্রহণযোগ্য নয় এমন দুর্ভোগ চাপিয়ে দিচ্ছে।”
এদিকে, গত ২০ মাসে ইসরাইলি আগ্রাসনে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫৫,৩৬২ জন ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে নারী, শিশু ও বয়স্ক মানুষের সংখ্যাই বেশি।
ক্রমবর্ধমান এসব হামলার ফলে গাজায় নিরাপত্তা, খাদ্য, ও চিকিৎসা—সবকিছুরই চরম সংকট দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।