নির্বাচনি জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা পূরনের একমাত্র পথ: তৌহিদুল ইসলাম বাবু

বিশেষ প্রতিনিধি:

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়ে একান্ত আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির ঢাকা দক্ষিণের শাহবাগ থানার অন্যতম সমন্বয়ক তৌহিদুল ইসলাম বাবু এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “নির্বাচনি জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা পূরণে একমাত্র উপায় হলো একটি অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা। এ লক্ষ্যে বিএনপির নেতৃত্ব এবং রাজনৈতিক দায়িত্ব এখন সবচেয়ে বেশি।”

সম্প্রতি লন্ডন সফররত অবস্থায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও নোবেল বিজয়ী আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস-এর মধ্যে একান্ত বৈঠকে দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট ও নির্বাচন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

তৌহিদুল ইসলাম বাবু বলেন,

“এই বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন, সংবিধান সংশোধন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সংস্কার, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম-খুনের তদন্তসহ নানা বিষয়ে যৌথ অবস্থান ও প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি, ফেব্রুয়ারির মধ্যে একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রস্তুতিও চলছে।”

তিনি আরো বলেন,

“গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গঠনে বিএনপির অতীত ঐতিহ্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সুদৃঢ়। শহীদ জিয়া ও বেগম খালেদা জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বিএনপি বারবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে দেশের জনগণের কল্যাণে কাজ করেছে।”

ব্যাংকিং ও অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বাবু বলেন,

“গত ১৭ বছরে রাষ্ট্রের ব্যাংকিং খাত ধ্বংস হয়েছে। ঋণখেলাপি, অর্থ পাচার এবং বিদেশে সম্পদ সঞ্চয়ের কারণে দেশের অর্থনীতি দুর্বল হয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে এই খাতকে ঢেলে সাজিয়ে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা হবে।”

সমাজ ও রাষ্ট্র উন্নয়নে একতাবদ্ধ প্রয়াসের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান,

“যোগাযোগ, প্রবাসী সমস্যা সমাধান, শিল্প ও রপ্তানি খাতে যুগোপযোগী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। সরকার ও মালিকপক্ষের সমন্বয়ে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে। একইসঙ্গে প্রতিবেশী দেশসহ সকলের সঙ্গে সমতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষা বিএনপির বৈদেশিক নীতির অংশ হবে।”

তারেক রহমানকে দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের প্রতীক আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন,

“তরুণদের অহংকার, তারেক রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি উদার, মানবিক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা তুলে দাঁড়াবে—এটাই আমার আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা।”

সাক্ষাৎকারের শেষাংশে তৌহিদুল ইসলাম বাবু বলেন,

“ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে যেভাবে বিএনপি ও অন্যান্য দলের নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন ও নির্যাতন চালানো হয়েছে, আগামী দিনে জনগণের সরকার এসব অন্যায়ের বিচার করবে এবং দেশকে একটি মানবিক ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য বিভিন্ন জনকল্যাণমুখী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখবে ।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *