স্টাফ রিপোর্টার:
ঢাকা মিরপুর বিআরটিএ অফিসের অনেক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি হলেও বদলি হয়নি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) মিরপুর ১ সার্কেলে কর্মরত সহকারী পরিচালক (এডি) রাজিবুল ইসলাম এর। তিনি এই সার্কেলের মোটরযান রেজিস্ট্রেশন এবং মালিকানা বদলি শাখার দায়িত্বে আছেন।
এডি রাজিবুল ইসলামের রয়েছে বিশাল ক্ষমতা। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সময় চাকরিতে যোগদান করেন এই এডি রাজিবুল ইসলাম। আওয়ামী লীগের দোসর এডি রাজিবুল ইসলাম চাকরি জীবনে কখনো ঢাকা বা নারায়ণগঞ্জ ছাড়া অন্য জেলায় বদলি হননি। কারণ তার ছিল সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী আওয়ামী লীগের দোসর ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। যার কারণে ঢাকার বিভিন্ন সার্কেলে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার পালিয়ে গেলেও বহাল তবিয়তে এখনো ঘুষ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন এই এডি রাজিবুল ইসলাম। মালিকানা বদলিতে টাকা ছাড়া কোনো ফাইল সই করেন না এডি রাজিবুল ইসলাম। রাজিবুল ইসলামের অফিস কক্ষে দরজা সবসময় বন্ধ থাকে। কোনো দালাল ছাড়া তার কক্ষে অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারেন না। টাকা দিলে গাড়ির মালিক ও গাড়ি হাজির না থাকলেও হয়ে যায় মালিকানা বদলি।
অথচ নিয়ম আছে, গাড়ির মালিকানা বদলির সময় গাড়ি ও গাড়ির মালিকের হাজির থাকতে হবে। জানা যায়, এডি রাজিবুল ইসলাম চাকরির অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার বিভিন্ন সার্কেলে। যা চাকরির বিধিমালার পরিপন্থী। আওয়ামী লীগের ক্ষমতার জোরে চাকরি পায় এই রাজিবুল ইসলাম।
তিনি চাকরি জীবনের পুরো সময় কাটিয়েছেন ঢাকায়। অবৈধভাবে কামিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। অভিযোগ রয়েছে, মোটা অঙ্কের টাকা হলে গাড়ি ও গাড়ির মালিক ছাড়াই নতুন মালিকানা বদলি করে দেন। একাধিক ভুক্তভোগীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ঘুরেও এডি রাজিবুল ইসলামের দেখা মিলে না, দালাল ছাড়া ফাইল সাবমিট করলে নানান ধরনের দোষ দেখিয়ে কাগজপত্রে ত্রুটি আছে বলে ফিরিয়ে দেয়।
কিন্তু দালালের মাধ্যমে ২৫০০০০ থেকে ৩০০০০০ টাকা ঘুষ দিলে মালিক ও গাড়ি এবং ত্রুটিপূর্ণ কাগজের মাধ্যমেই মালিকানা বদলি করেন এই এডি রাজিবুল ইসলাম। কারণ এডি রাজিবুল ইসলামই প্রধান এখানের।