প্রভাস চক্রবর্ত্তী:
বোয়ালখালীতে ছাত্র-জনতার জুলাই আন্দোলনে শহীদ ইঞ্জিনিয়ার মো. ওমরের লাশ মৃত্যুর প্রায় ১১ মাস পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। বুধবার (২৫ জুন) সকাল ১০টায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমার উপস্থিতিতে মরদেহ উত্তোলনের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
লাশ উত্তোলনকালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক এবং বোয়ালখালী থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও শহীদ ওমরের মা ও পরিবারের সদস্যরাও এসময় কবরস্থানে উপস্থিত ছিলেন।
সহকারী কমিশনার কানিজ ফাতেমা জানান, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মরদেহ উত্তোলন করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পুনরায় দাফন করা হবে।
এর আগে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ওমরের মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের আকুবদণ্ডী কবরস্থানে দাফন করা হয়। তবে পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির কারণে সে সময় ময়নাতদন্ত কিংবা সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়নি।
ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়ের করা মামলা নং ২১(৮)২৪, জি.আর মামলা নং ৩০৪/২৪–এর আলোকে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট লাশ উত্তোলনের আদেশ দেন। পরে ১৬ জুন চট্টগ্রাম জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয় থেকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আদেশ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
মামলার নথিতে বলা হয়, গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়া সত্ত্বেও যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই মরদেহ দাফন করা হয়, যা মামলার নিরপেক্ষ তদন্তে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। সে কারণেই আদালত এ সিদ্ধান্ত দেন।